নয়া দিল্লি: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছে ভারতের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। অতিমাত্রায় সংক্রমণ রুখতে ফের একবার দেশে চালু করা হয়েছে লকডাউন।

চলতি বছরে নতুন করে লকডাউনে বন্ধ করতে হয়েছে একাধিক পরিষেবা। আর এর প্রকোপ গিয়ে পড়েছে বিমান পরিষেবার ওপরেও।

কারণ করোনা পরিস্থিতিতে বিমানের যাত্রী সংখ্যা কমেছে অধিক পরিমাণে। একটি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে বিমান চলাচল শিল্পে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১৪ এবং ১৮ শতাংশ।

শুধুমাত্র ২০১৮ সালে এই হার ছিল ১৮.৬ শতাংশ। প্রায় ১৩১ মিলিয়ন যাত্রী ডোমেস্টিক ফ্লাইটে যাতায়াত করেছিল সেই বছর ।

তবে হটাৎ করে ২০১৯ সালে এই হার পড়ে যেতে দেখা যায়। ২০১৯ সালে আর্থিক মন্দার কারণে যা দাঁড়ায় মাত্র ৩.৭৪ শতাংশে।

আর এই অর্থনৈতিক মন্দা যেতে না যেতে ভারতে শুরু হয় কোভিড মহামারীর পরিস্থিতি।

আইসিআরএ (ICRA) -এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহামারীর কারণে ২০২১ অর্থবর্ষে বিমান পরিষেবা প্রায় ২১,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলিতেও লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫,৪০০ কোটি টাকা।

২০২০ শেষে করোনা পরিস্থিতি দেশে খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলে ভারতের মিনিস্ট্রি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (MoCA) অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবাগুলি চালু করে।

তবে সেক্ষেত্রে আবার ৩৩ শতাংশের বেশি বিমান উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার করোনার কারণে বিমানবন্দরে বেশকিছু বিধি নিষেধ জারি করেছিল।

তবে বছরের শেষে বিমান সংস্থাগুলি একটা স্তম্ভিত পদ্ধতিতে পৌঁছেছিল প্রায় ৮০ শতাংশের ঘরে ।

ন্যাশেনাল ক্যারিয়ারের আবেদনের জবাবে সম্প্রতি এমওসিএ (MoCA) জানিয়েছে, ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ বিমানের নিম্ন সীমা ১৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হবে ১৬ শতাংশ।

এর পাশাপাশি ৪০ মিনিটের কম মেয়াদ সহ ফ্লাইটের জন্য নিন্ম সীমাটির মূল্য ২৩০০ থেকে বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ২,৬০০ টাকা।

এছাড়াও কিছুদিন আগে বিমানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছিল একটি নয়া নিয়ম।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের যাত্রীদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ওঠার জন্য সঙ্গে রাখতে হবে একটি কিউআর কোড (QR code) সহ নেতিবাচক আরটি-পিসিআর রিপোর্ট (RT-PCR report) ।

এর আগে বিমানে যাতায়াত করার জন্য নেতিবাচক আরটি-পিসিআর রিপোর্ট (RT-PCR report) সঙ্গে রাখলে পাওয়া যেত অনুমতি, তবে একাধিক মানুষ জাল আরটি-পিসিআর রিপোর্ট ব্যবহার করার কারণে নতুন নিয়মটি জারি করে মন্ত্রক।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.