কলকাতা: বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর করোনা সংক্রমন মোকাবিলায় প্রায় লকডাউনের পথেই হেঁটেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। ১৬ মে থেকে জারি হয়েছিল বিধি নিষেধ। ইতিমধ্যেই সেই জারি হওয়া বিধি নিষেধের প্রথম পর্যায়ের পনেরো দিন অতিক্রান্ত। সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ১৫ জুন পর্যন্ত জারি থাকবে যাবতীয় বিধি নিষেধ। এর মধ্যেই সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর। মঙ্গলবার থেকে রোজ ৩ ঘণ্টা করে খোলা থাকবে মদের দোকান। বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে অবধি খোলা থাকবে মদের দোকান। ১৬ মে থেকে জারি হওয়া বিধিনিষেধে সোমবার থেকেই শিথিলতা আরোপ করে রাজ্য সরকার। বিধিনিষেধ ঘোষণা হওয়ার পর সেটা চালু হওয়ার আগে মদের দোকান গুলিতে দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইনের সাক্ষী সমগ্র রাজ্য।
মদের দোকান (wine shop) খোলা নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা মঙ্গলবার কলকাতা সহ সব জেলার শীর্ষ প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দোকান খোলার নির্দেশ পেয়েই ১২ টা থেকেই মদের দোকান গুলি খুলে গিয়েছে। দোকান খোলার পরেই আবার দোকানের সামনে লম্বা লাইন দেখা গেছে উচ্ছসিত সূরাপ্রেমীদের। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে সরকারের তরফ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে সর্তক করে বলা হয়েছে যে তিন ঘন্টার বেশি যেন কোনো মদের দোকান খোলা না থাকে সেই ব্যাপারে নজর দিতে এবং নিয়ম না মানলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যেন গ্রহণ করা হয়।
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র ও খুচরো ব্যবসায় বিধি নিষেধ লাঘব করার কথা ঘোষণা করেন। খুচরো ব্যবসায় ছাড় দেওয়ার এই ঘোষণার আওতায় মদের দোকান গুলিকে আনা হয়েছে। কিন্তু তিন ঘন্টার জন্য মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ও বার গুলি খোলার অনুমতি এখনও সরকারের তরফে দেওয়া হয়নি । রাজ্য প্রশাসন মারফত সেই নির্দেশিকা দিলে তবেই এই গুলি খোলা যাবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.