নয়াদিল্লি: রামদেবের মন্তব্যে এবার কঠোর অবস্থান নিলেন দেশের চিকিৎসকরা। সোমবার, ৩১ মে দিল্লির এইমস (AIIMS) রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ঘোষণা করা হয়, আজ, ১ জুন তাঁরা যোগগুরু রামদেবের (Ramdev) করা মন্তব্যের বিরোধিতায় ‘Black Day’ বা ‘কালা দিবস’ পালন করবেন। কিছুদিন আগে রামদেব আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন ও সমালোচনা করেন। তাঁর মন্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করে। এরপর থেকেই চিকিৎসকরা এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। আজ তাঁরা ‘Black Day’-র ডাক দিলেন।

এইমসের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে রামদেবকে মহামারী রোগ আইন (Epidemic Diseases Act), ১৮৯৭ এর অধীনে আটক করা হোক। করোনার টিকা দেওয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে অশান্তি তৈরির চেষ্টা এবং স্বাস্থ্যসেবা সেবামূলক কর্মীদের হয়রানির জন্য রামদেবের বিরুদ্ধে এই আইন লাগু করার অনুরোধ জানিয়েছে এইমস। রামদেবের মন্তব্যকে অপমানজনক বলে ব্যাখ্যা করে জনানো হয়েছে যোগগুরুর এই মন্তব্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসায় উসকানি দিতে পারে। আর তার ফলে ভেঙে পড়তে পারে জন স্বাস্থ্য পরিষেবা। একটি বিবৃতি জারি করে এইমস জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও করোনা যোদ্ধারা মহামারী থেকে সবার প্রিয় মাতৃভূমিকে বাঁচানোর জন্য কঠোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করছেন তাঁরা। কিন্তু রাম কিসন যাদব ওরফে রামদেব ‘বাবা’ সম্প্রতি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে যে অসংবেদনশীল ও অপমানজনক মন্তব্য করেছেন তা মহামারীটির বিরুদ্ধে লড়াই করা সবার যৌথ প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ বলে মনে হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই ১ জুন ‘Black Day’ পালনের পথে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এইমসের চিকিৎসকরা। যদিও এর জন্য রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে রামদেব বলেছেন, অনেক মানুষ শুধু অ্যালপ্যাথি চিকিৎসার জন্য মারা গিয়েছেন। যাঁরা চিকিৎসা বা অক্সিজেন পাননি বলে মারা গিয়েছেন, তাঁদের চেয়ে অনেক বেশি।” তিনি অ্যালপ্যাথিকে “নির্বোধ এবং দেউলিয়া” বিজ্ঞান হিসাবেও অভিহিত করেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর একটি বিশাল বিতর্ক তৈরি হয়। রামদেবের এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে চিকিৎসকমহল। ক্ষুব্ধ হয় ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনও (IMA)। চিঠি যায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর (Health Minister) তরফ থেকেও। রামদেবের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে মামলা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.