নয়াদিল্লি: ভারতের টেলিকম সংস্থার মধ্যে প্রথম সারির একটি রিলাইন্স জিও (Jio)। টেলিকমের পাশাপাশি ফোনের জগতেও বেশ জনপ্রিয় মুকেশ আম্বানির এই সংস্থা। চলমান মাহামারীর সময়ে গ্রাহকদের কথা ভেবে একাধিক সাশ্রয়ী রিচার্জ প্যাক চালু করেছে জিও। তবে এবার টেলিকম সংস্থাটি ফোনের সঙ্গে আরও একটি নতুন জগতে প্রবেশ করতে চলেছে।

সম্প্রতি জানা গেছে রিলাইন্স জিও চালু করতে চলেছে একটি গেমিং পরিষেবা। সংস্থা এই নতুন পরিষেবা চালু করার জন্য জাপানিজ গেম সংস্থা সেগারের সঙ্গে যৌথ্য ভাবে কাজ করছে। সেগার (SEGA) তালিকায় দুটি জনপ্রিয় গেম রয়েছে। এই জাপানিজ সংস্থার Sonic the Hedgehog 2 এবং Streets of Rage 3 গেমগুলি বেশ জনপ্রিয় ইউরোপ (Europe) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US) । তবে আগামী দিনে সংস্থার উভয় গেমগুলি উপলভ্য হবে জিও ইকোসিস্টেমের একাধিক ডিভাইসে। পাশাপাশি সেগার শিরোনামটি অ্যাক্সেস করা যাবে জিও ফাইবারে (JioFiber)।

আসন্ন গেমগুলির ডাউনলোড এবং প্লে করার জন্য জিও গেম স্টোরে দুটি টাইটেল রাখা হবে। পাশাপাশি ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য সেগার গেমদুটিতে স্থানীয় ভাষাও যুক্ত করবে সংস্থা। জিও যুক্ত করতে পারে হিন্দি এবং তামিল ভাষাদুটি। সেগা মেগা ড্রাইভ সিরিজের অংশ হিসেবে Sonic the Hedgehog 2 গেমটি তৈরি করা হয়েছে।

অন্যদিকে সেগার Streets of Rage 3 গেমটি জাপানে Bare Knuckle 3 নামে পরিচিত। সংস্থার এই গেমটি মূলত একটি ফাইটিং সিরিজের পেক্ষাপটে তৈরি। সংস্থার তরফে উজ্জ্বল গ্রাফিক্স, সমৃদ্ধ চরিত্র রাখা হয়েছে Bare Knuckle 3 গেমে। Sonic the Hedgehog 2 এবং Streets of Rage গেমদুটি পাবজি (PUBG) মোবাইল গেমের মতো কম্পিউটিং পাওয়ারের প্রয়োজন হয়না। যার অর্থ আসন্ন গেমগুলি উপভোগ করতে পারবে জিও ফোনের গ্রাহকরা।

লকডউনের কারণে ফের একবার মানুষ গৃহবন্ধি। একটি তথ্য দেখা মিলেছে, গত বছর লকডাউনে সাফল্যের শির্ষে ছিল গেমিং সংস্থাগুলি। আর সেই কারণে এইবার একাধিক গেমিং সংস্থা ভারতের সংস্থাগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে চাইছে। সেন্সার টাওয়ারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম তিনটি প্রান্তিকে ভারত গেম ডাউনলোডে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে ছিল। ভারতে ২০২০ সালে প্রায় ৭.৩ বিলিয়ন গেম ইনস্টল করা হয়েছিল এবং ডাউলোডের পরিমাণ ছিল ১৭.২ শতাংশ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.