ত্রাণে সরকারি উদ্যোগ নেই
সোমবার শুভেন্দু অধিকারী অনেকটা সময় কাটিয়েছেন, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের পাশের কেন্দ্র খেজুরিতে। সেখানকার এবারের বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিককে পাশে নিয়ে ত্রাণ বিলি করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী ত্রাণ বিলিতে সরকারি উদ্যোগের অপ্রতুলতার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, রান্না করা খাবার থেকে ফ্ল্যাড সেন্টার তৈরি যে ধরনের সরকারি উদ্যোগ থাকার কথা, তার কিছুই করা হয়নি।
ত্রাণের টাকা উধাও হবে
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে সাহায্যের কথা ঘোষণাও করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কটাক্ষ করে বলেন, আম্ফানের মতো সেই ত্রাণের টাকা মাঝ পথে উধাও হয়ে যাবে।
বিজেপি কর্মীদের উদ্যোগী হতে বলেছেন
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি কর্মীদের কাছে ত্রাণ নিয়ে নজরজারি করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে ড্রপবক্স খোলা হয়েছে। সেই ড্রপবক্সে ক্ষতির বিবরণ দিয়ে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন করার একটি রিসিভ কপি নিজেদের কাছে রাখার জন্য বলেছেন বিরোধী দলনেতা। কেননা পরবর্তী সময়ে সরকারের তরফ থেকে বলা হতে পারে, কোনও আবেদনই করা হয়নি। তিনি বিজেপি কর্মীদের বলেন, মেল করে বিডিও-র কাছে আবেদন করতে। সরকারি ত্রাণ যাতে মানুষের কাছে পৌঁছয়, তাঁর জন্য তিনি চেষ্টা করে যাবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
ক্ষতিপূরণ না পেলে জোরাল লড়াই
শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সাধারণ মানুষ যদি ক্ষতিপূরণ না পান, তাহলে জোরদার লড়াই করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সরকারি ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্য তিনি পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামের পাশাপাশি খেজুড়ি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় নিজের উদ্যোগে ত্রাণবিলি শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।