এপ্রিল থেকে অক্সিজেনহীন শিল্পক্ষেত্র
গত এপ্রিল থেকে বেলাগাম করোনার জেরে দেশজোড়া অক্সিজেনের হাহাকার প্রত্যক্ষ করা যায়। স্বভাবতই শিল্পক্ষেত্রের আগে রোগীদের প্রাণ বাঁচানো প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় কেন্দ্রের কাছে। রোগীর সংখ্যায় লাগাতার বৃদ্ধির দরুণ অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়। সেই অভাব পূরণ করতে কার্যত অক্সিজেনহীন হয়ে পড়ে শিল্পক্ষেত্র। ওষুধ উৎপাদন, অ্যাম্পুল-ভায়াল উৎপাদন ক্ষেত্র ও প্রতিরক্ষা ছাড়া অন্যান্য সকল শিল্পক্ষেত্রে অক্সিজেনের যোগান শূন্যে গিয়ে ঠেকে।
রোগীর ভিড় কমতেই অর্থনীতিতে নজর কেন্দ্রের
অক্সিজেনের যোগান ব্যাহত হওয়ায় প্রবল ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া হয় কল-কারখানাগুলিকে। ফলে চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রাণবায়ুর আকাল কমতেই পুনরায় অর্থনীতির দিকে নজর দিল কেন্দ্র। ফার্নেস, পরিশুদ্ধিকরণ প্ল্যান্ট, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, তামা উৎপাদক প্ল্যান্ট এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে (এমএসএমই) তরল অক্সিজেনের ছাড়পত্র দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রগুলিতেও অক্সিজেনের যোগান বাড়াচ্ছে কেন্দ্র।
চিকিৎসাক্ষেত্রের চাহিদা মিটিয়ে তবেই সরবরাহ শিল্পে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, "রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতাল সহ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ করবে কেন্দ্র। তারপর ভায়াল-অ্যাম্পুল উৎপাদক, অক্সিজেন সিলিন্ডার উৎপাদক ক্ষেত্র ও প্রতিরক্ষা খাতে পাঠানো হবে অক্সিজেন। অবশেষে উল্লিখিত শিল্পক্ষেত্রগুলিতে তরল অক্সিজেন সরবরাহ করবে অন্তর্দেশীয় বাণিজ্য উন্নয়ন বিভাগ (ডিপিআইআইটি)।"
করোনায় রাশিয়ান জিমন্যাস্টদের প্রস্তুতি দেখার সুযোগ হারাল জাপানের কামো
"হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই"
ক্রমশ দাঁতনখ আলগা করছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যদিও এরই মাঝে আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটিতে ক্রমশ আতঙ্কিত নাগরিকরা। যদিও বর্তমানে রোগীর চাপ কম থাকায় অনেকটাই কমেছে অক্সিজেনের চাহিদা। বর্তমানে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই বলে সাফ জানাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের। ইতিমধ্যেই নানা শিল্পক্ষেত্র যে অক্সিজেনের জন্য ডিপিআইআইটির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, সে বিষয়ে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা।