স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: রাজ্যে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে (Black Fungus) মৃত্যু হল আরও এক প্রৌঢ়ার। মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ষাটোর্ধো ওই প্রৌঢ়া কিছুদিন আগে করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে সময় তাঁকে স্টেরয়েড দেওয়া হয়। করোনামুক্ত হওয়ার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা চিকিৎসায় অনিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েডের ব্যবহার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়৷ সেখান থেকেই শরীরে ঢুকে পরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। তবে এই ফাঙ্গাস ছোঁয়াচে নয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি৷
আরও পড়ুন: CMIE-এর রিপোর্টে বাড়ল উদ্বেগ, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে চাকরি হারিয়েছে ১ কোটি
মিউকরমাইসোসিস (mucormycosis) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে দক্ষিণ বঙ্গের তিন জেলায়। এই মুহূর্তে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জন রোগী বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই পাঁচ জন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে৷
আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় লাগামছাড়া বিল, শোকজ নোটিস ৭ বেসরকারি হাসপাতালকে
এদিকে করোনা মহামারীর মধ্যেই বিভিন্ন ফাংগাল ইনফেকশন (Fungal infection) এর খবর উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাংগাস (Black fungus) এর পর, এবার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইয়েলো ফাংগাস (Yellow fungus)। অনেক চিকিৎসকের মতে এই করোনা প্যানডেমিকের (Pandemic) এর আগেও এই ফাংগাল ইনফেকশন গুলির অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু জনসাধারণ এই ব্যাপারে জানতেন না। তাই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাক বন্ধ, নাক থেকে কালো পুঁজ বেরোলে, চোয়ালে ব্যথা বা অবশ হয়ে গেলে শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রবেশের উপসর্গ বলে মনে করা হবে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রতিটি হাসপাতালকে জানানো হয়েছে, কোনও রোগীর মধ্যে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই তাঁর সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দ্রুত পাঠাতে হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.