স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ৩ জুন থেকে শহরে শুরু হচ্ছে ‘ভ্যাকসিন অন হুইল’ (Vaccine on Wheel) পরিষেবা। এই পরিষেবা মূলত পাবেন ব্যবসায়ী, হকার, দোকানি, দিনমজুররা। তাঁদের ভ্যাকসিন দিতে বিশেষ বাস চালু করছে কলকাতা পুরসভা (KMC)। এই ভ্যাকসিন মিলবে কোনও পূর্ব নথিভুক্তিকরণ ছাড়াই। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভায় এক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, ‘অক্সিজেন অন হুইল’ পরিষেবা চালু করছে কলকাতা পুরসভা।
পুরসভার দাবি, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না। বলছেন, দোকান ছেড়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ তাঁরা রোজ হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
আরও পড়ুন: CMIE-এর রিপোর্টে বাড়ল উদ্বেগ, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে চাকরি হারিয়েছে ১ কোটি
আগামী বছরের শুরুতেই কোভিড (COVID-19) সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগেই কলকাতা শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের কোভিড ভ্যাকসিন দিতে বদ্ধপরিকর পুরসভা। পুর ও পরিবহণ দফতরের যৌথ উদ্যোগেই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। তবে বিরোধীদের দাবি, নথিভুক্তিকরণ ছাড়া ভ্যাকসিন দিলে স্বজনপোষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটে হেরে ফের একবার রাজ্যসভায় নয়া ইনিংস স্বপন দাশগুপ্তের
এদিকে, প্রবীন নাগরিকদের ভ্যাকসিনেশনে (Vaccination) বিশেষ সুবিধা আনল কলকাতা পুরসভা ৷ এবার ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ ভ্যাকসিন নিলে তাঁকে আর কো-উইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। শুধু আধার কার্ড থাকলেই হবে। কলকাতা পুর এলাকায় বাসিন্দাদের জন্য এই নিয়ম চালু হল৷
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পুরসভার ১১৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ষাটোর্ধ্বদের রেজিস্ট্রেশন-বিহীন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কলকাতা পুরসভা বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন কো-উইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে, শুধুমাত্র আধার কার্ড দেখালেই মিলবে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। জানিয়েছেন, প্রবীণ নাগরিকদের বাড়ি-বাড়ি গিয়েও ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.