নয়াদিল্লি: দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve bank of India) ভারতীয় মুদ্রা সম্পর্কিত নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। পাশাপাশি গ্রাহকদের নানাভাবে সচেতন করতে থাকে। যাতে কোনোভাবেই কোনো গ্রাহক কোনো প্রতারণার শিকার না হয়। করোনাকালে অনলাইন ব্যাঙ্কিং (Online Banking)-এর ব্যবহার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইমের (Cyber Crime) সংখ্যাও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আরবিআই ডেবিট কার্ড হোল্ডারদের তাদের কার্ডের সেটিংস পরিবর্তন করতে বলেছে। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের দেওয়া পরামর্শ গ্রহণ করে, আপনিও জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে পারেন।

বেশিরভাগ গ্রাহক ডেবিট কার্ড (Debit Card) ব্যবহার করেন তবে অনেক সময় অযত্নের কারণে তারা সাইবার অপরাধীদের খপ্পরে পড়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে আপনি কীভাবে ডেবিট কার্ডের সেটিং পরিবর্তন করবেন এবং আরবিআই কর্তৃক কোন কোন সেটিংস পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে, তা জানা জরুরি।

গ্রাহকদের সচেতনতার জন্য RBI তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট কার্ড সুরক্ষার জন্যে কয়েকটি টিপস শেয়ার করেছে। আরবিআইয়ের মতে, নির্দিষ্ট কয়েকটি সেটিংস পরিবর্তন করে দেওয়া উচিত। সেগুলো জেনে নেওয়া যাক –

১. ডেবিট কার্ডে প্রতিদিনের লেনদেনের জন্য একটি দৈনিক সীমা রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেই সীমা নির্ধারণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি যদি কার্ডটি নিয়ে প্রতারণা করতে চায়, তবে তিনি তা করতে সক্ষম হবেন না। লেনদেনও সীমাবদ্ধতার মধ্যে হবে।

২. RBI-র দেওয়া তথ্য অনুসারে, আপনার ডেবিট কার্ডে ডোমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করা উচিত। প্রয়োজনে আপনি এটি বাড়াতে পারেন, তবে যখন প্রয়োজন হবে না তখন এটি হ্রাসও করতে পারেন।

৩. আপনি যদি আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য কার্ডটি ব্যবহার না করেন তবে আপনার আন্তর্জাতিক ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। প্রকৃতপক্ষে, আন্তর্জাতিক প্রতারণার ঘটনাগুলি অনেক বেড়েছে এবং আপনি যদি আন্তর্জাতিক লেনদেন বন্ধ করে দেন তবে বাইরে থেকে আপনার ডেবিট কার্ড দিয়ে কেউ কোনও প্রতারণা করতে সক্ষম হবে না।

ডেবিট কার্ডে যে কোনও লেনদেনের জন্য নিজের লেনদেনের সীমাটি নির্দিষ্ট করতে হয়, এরফলে কার্ড থেকে বেশি লেনদেন হবে না।এই সেটিংসটি পরিবর্তন করতে গ্রাহককে ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে এটি পরিবর্তন করা যেতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.