মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ
বিতর্কের মধ্যে নির্দিষ্ট দিনে অবসর নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ৩ বছরের জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীকে নীতি সংক্রান্ত উপদেশ দেবেন তিনি। তাঁর বেতন মাসে আড়াই লক্ষ টাকা এবং এর ওপরে অন্য ভাতা স্থির করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
করদাতাদের কষ্টের টাকা খরচের অন্য উপায়ও রয়েছে
এদিকে এই নিয়োগ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে তিনি বলেছেন, করদাতাদের টাকা লুট করা তৃণমূলের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। বিদায়ী মুখ্যসচিব এখন পরামর্শদাতা হতে চলেছেন বিধায়ক না হয়েই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে আড়াই লক্ষ টাকা বেতনের পাশাপাশি অন্য সুবিধাও দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু করদাতাদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করার আরও ভাল উপায় রয়েছে বলেও টুইটারের বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিদায়ী মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
বিদায়ী মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পরিষেবা বিধিলঙ্ঘন, বিশ্বব্যাপী মহামারী, অনিয়ম এবং অন্যদের সাহায্য না করার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিষয়টিকে তিনি রাজনৈতিক খেলা বলেও অভিযোগ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি তৃণমূলের ব্যর্থতারও অভিযোগ করেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবিধানকে অসম্মানের অভিযোগ
অপর একটি টুইটে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবিধানকে অসম্মানের অভিযোগ করেছেন। রাজ্যে অযৌক্তিক নাটক চলছে বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, নিজের অহংকারের জন্য, ভারতের ফেডারেল কাঠামো ধ্বংস করতে এবং মুখ্যসচিবের শৃঙ্খলাভঙ্গকে ঢাকতে বিধায়ক না হওয়া মুখ্যমন্ত্রী অফিস এবং সংবিধানকে অসম্মান করেছেন।
২৮ মে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর পর শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁৎ সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে অপমানের অভিযোগ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ওইদিনের বৈঠক নিয়ে অসত্য তথ্য পরিবেশন করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কেন ছিলেন না? ব্যাখ্যা চেয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি মোদী সরকারের