সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : বিশ্ব ধূমপান বিরোধী দিবসে (quit smoking day) এক বেনজির উদ্যোগ নিল হাওড়ার একটি সেফ হোম। যে বদ অভ্যাসে মানুষ মাস্ক খোলে তা হল ধূমপান। তাতে খারাপ হয় ফুসফুসও। ধূমপান করলে করোনাকে আহ্বান করা হচ্ছে এমন বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমত অবস্থায় দক্ষিণ হাওড়ার এমন একটি সেফ হোম (safe home) ও অক্সিজেন পার্লারের (oxygen parlour) উদ্বোধন হল যেখান থেকে সুস্থ হলেই নিতে হবে ধূমপান (smoking) ছাড়ার প্রতিজ্ঞা।

দক্ষিণ হাওড়ার প্রথম ছটি বেডের অক্সিজেন পার্লার এবং কুড়িটি বেডের সেফ হোম তৈরি করেছেন বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী। করোনাকালে বন্ধ স্কুল এবং কলেজ। এবার হাওড়ার আইটিআই কলেজ বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরীর এর উদ্যোগে পরিণত হয়েছে সেফহোমে। সূচনা হল সোমবার থেকে। তবে বিশ্ব ধূমপান বিরোধী দিবসে সেফ হোমে ভর্তির ক্ষেত্রে এক অভিনব পন্থা বেছে নিলেন বিধায়ক। যাঁরা সেফ হোমে থাকবেন তাঁদের মধ্যে যাঁরা ধূমপায়ী হবেন তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠলে তাদের সবাইকে ধূমপান ছাড়তে হবে। এই মর্মে এই ফর্মে সই করতে হবে করোনা আক্রান্তদের। তৈরি হয়েছে আলাদা একটি ফর্ম। যে ফর্মে এই বার্তা স্পষ্ট করে লিখে জানালেন বিধায়ক নিজেই।

আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অপ্রতুল অক্সিজেন সমস্যার মোকাবিলা করতে দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শ্রীমতি নন্দিতা চৌধুরীর পৃষ্টপোষকতায় আয়োজিত অক্সিজেন বিতরণ কেন্দ্র ‘প্রাণবায়ু’ এর শুভ উদ্বোধন করেন হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, হাওড়া পৌর নিগমের এডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডের চেয়ারপার্সন অরূপ রায়।

বিধায়ক বলেন, ‘কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে হাওড়া হোমস ITI কলেজে অক্সিজেন পার্লার চালু হল। আক্রান্তদের পরিষেবায় সপ্তাহের প্রত্যেক দিন সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই পার্লার। আজ অক্সিজেন পার্লারের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন অরূপ রায়, বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়, তপন পাল সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক, এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও। অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে, এমন রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এই পার্লারে আসতে পারবেন। অতিমারির এই সঙ্কটে সকলের জন্য এই অক্সিজেন পার্লার খোলা থাকবে।’

এই মহামারীর সময়ে অতিরিক্ত ধূমপান মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
প্রতিবছর ৩১ মে সারাবিশ্বে ঘটা করে বিশ্ব ধূমপান বিরোধী দিবস (World Tobacco Day) পালন করা হয়। বিশেষ এই দিনটি পালনের মূল লক্ষ্যই হল তামাক মুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা। মানুষকে আরও বেশি করে স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিক হিসেবে গড় তোলা। শুধু তাই নয়, বিশ্ব ধূমপান দিবসে তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবনের অপকারীতা এবং তা যে ক্যান্সারের কারণ সেই বিষয়েও মানুষকে বোঝানো হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৮৭ সালের ৩১ মে প্রথম এই দিনটিতে ধূমপান বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করে। ধূমপান করলে কী হয় এবং এটি যে ধীরে ধীরে ফুসফুস শ্বাসনালীর ক্ষতি করে মৃত্যুর কারণ হতে পারে তা বোঝানোর জন্যই সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই দিনটিতে বিশ্ব তামাক দিবস পালন করা হয়।

তবে বর্তমান করোনাময় পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ধূমপান যে মৃত্যুর কারণ হতে পারে সেই বিষয়ে আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছে ‘হু’। সম্প্রতি একটি টুইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরবাইয়াসিস ( Dr Tedros Adhanom) বলেন, “বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ধূমপায়ীদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি রয়েছে। কারণ, ধূমপায়ীদের মধ্যে কোভিড -১৯ থেকে মারাত্মক কোনও রোগের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০% বেশি থাকে।”

তিনি আরও বলেন, “কাজেই ধূমপায়ীরা এই করোনভাইরাসের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করার পাশাপাশি ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা কমাতে তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন পরিত্যাগ করা উচিত।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.