নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পাওয়া গেল আরও এক ওষুধ। জরুরি ভিত্তিতে এলি লিল্লি অ্যান্ড কোম্পানী (Eli Lilly) নামক এক মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরী করা ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI)। এটিসিভিমাব ১,৪০০ মিলিগ্রাম এবং বামলানিভিমাব ৭০০ মিলিগ্রামের মিশ্রনে এই ওষুধটি তৈরী হয়েছে। মূলত মৃদু এবং মাঝারি উপসর্গবিশিষ্ট রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে।
এই ওষুধ ব্যবহারে করোনা রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন, বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কিছু দেশ এই দুই ড্রাগের কম্বিনেশন করোনা আক্রান্ত রোগীদের উপরে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে।
এলি লিল্লি (Eli Lilly) ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর লুকা ভিসিনি (Luca Visini) জানিয়েছেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আরও একটি ওষুধ বাজারে আসতে চলেছে। তার জন্যে করোনা রোগীদের একসঙ্গে বামলানিভিমাব ৭০০ মিলিগ্রাম এবং এটিসিভিমাব ১,৪০০ মিলিগ্রাম মিশিয়ে ইঞ্জেক্ট করতে হবে। ১২ বছর কিংবা তার ঊর্ধ্বে কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে জাইডাস ক্যাডিলা ( Zydus Cadila)-র ড্রাগ ‘ভিরাফিন'(Virafin) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DGCI)। এই ড্রাগ ব্যবহারের করলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। শুধু তাই নয়, মৃদু উপসর্গবিশিষ্ট রোগীদের ক্ষেত্রে এই ড্রাগ বিশেষভাবে কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছিলেন। এবার অনুমোদন মিলল এলি লিল্লি অ্যান্ড কোম্পানীর ওষুধটির।
দেশে ক্রমশই কমছে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে ২ লক্ষের নিচেই। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫১০ জন। মার্চ মাস থেকে যেভাবে ক্রমাগত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল তা সম্প্রতি কমতে শুরু করে। কিন্তু মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ৫৪ দিনে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া হিসাব করলে এই সংখ্যা সবচেয়ে কম।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.