'সেকেন্ড ওয়েভ'-এ দেশে করোনা সংক্রমণ ৪ লক্ষ পার করেছিল৷ এই মাত্রাছাড়া কোভিড সংক্রমণ ভারতে ভ্যাকসিনের চাহিদা বহুগুণ বাড়িয়েছে৷ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনার ভ্যাকসিনের আকাল দেখা গিয়েছে৷ দেশের বড় অংশের মানুষ চেয়েও ভ্যাকসিন পাননি৷ এ নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা৷ স্বাভাবিকভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই দেশের মোট জনসংখ্যার বড় অংশকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে মরিয়া মোদী সরকার৷ মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে জুলাইয়ের শেষ কিংবা আগস্টের প্রথমেই প্রতিদিন ১ কোটি ভ্যাকসিনেশনের পথে হাঁটবে ভারত।
ইতিমধ্যেই একাধিকবার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মাঝের সময় বাড়িয়েছে আইসিএমআর৷ এ নিয়েও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা৷ সময়মতো যথেষ্ট ভ্যাকসিন উৎপাদন না করা এবং বিদেশে ভ্যাকসিন পাঠানোর কারণেই দেশের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই, তাই দুটি ডোজের মাঝের সময় বাড়াতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এসবের পরও কোভিশিল্ড কিংবা কোভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মাঝের বর্ধিত সময় নতুন করে পরিবর্তন করেনি কেন্দ্র।
এদিন ১কোটি ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কোভিড নিয়ে আরও একটি আশার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্র। শেষ এক সপ্তাহে দেশের ৩০টি রাজ্যের ৩৪৪ টি জেলায় কোভিড সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। ৭ মে-র পর থেকে কোভিড সংক্রমণ প্রায় ৬৯ শতাংশ কমেছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।
গোদের উপর বিষফোঁড়া, রেহাই নেই সদ্যজাতদের! করোনার ছত্রতলেই ভয় ধরাচ্ছে এই নয়া মারণব্যাধি
এর মধ্যেই কেন্দ্রের প্রতিদিন ১ কোটি ভ্যাকসিনেশনের প্রতিশ্রুতির সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা৷ বিরোধীদের একাংশের বক্তব্য গতবছরও আগস্ট মাসে ভ্যাকসিনেশন শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু আদপে চলতি বছরের গোড়ায় ভ্যাকসিন শুরু হয়। ভোটের আগে ও পরে মোদী সরকারের পক্ষ থেকে এরকম অনেক 'জুমলা'ই প্রকাশ করা হয় বলে কেন্দ্রকে বিঁধছে বিরোধীরা৷