কলকাতা: একুশের ভোটের আগে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিজেপির তাত্ত্বিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) । বাংলায় বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির (Bjp)। যদিও ৭৭টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে তারকেশ্বর (Tarakeswar) কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত। এবার ফের নয়া ইনিংস রাজ্যসভায়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ramnath Kovind) মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে ফের রাজ্যসভার সাংসদ (Rajya Sabha MP) পদে মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি।

একুশের নির্বাচনে হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লড়াই করেছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। বিধানসভায় প্রার্থী হওয়ার পর রাজ্যসভার আসন ছেড়ে ভোট ময়দানে লড়াইয়ে নেমেছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। তবে ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি তাঁর। একুশের লড়াইয়ে অনেক হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি তারকেশ্বর কেন্দ্র থেকে হেরে যান স্বপন দাশগুপ্ত। তবে তাঁর মতো একজন সিনিয়র লিডারকে দলের মূল স্রোত থেকে আলাদা করে রাখতে চায়নি পদ্ম শিবির। মোদী-শাহদের অত্যন্ত আস্থাভাজন স্বপন দাশগুপ্তকে তাই ফের ফিরিয়ে আনা হল রাজ্যসভায় (Rajyasabha) । রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত করেছেন।

এর আগে ২০১৬ সালে রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নিয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। ৫ বছর সাংসদ পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তবে বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মাস খানেক আগে থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে স্বপন দাশগুপ্তকে। এমনকী বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদেরও অন্যতম দাবিদার ছিলেন তিনি। বিধানসভা ভোটে তারকেশ্বর থেকে বিজেপির প্রার্থী হন তিনি।

কিন্তু জিততে পারেননি। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে দলের সঙ্গেই রাখতে চায় বিজেপি। রাজ্যসভায় তাঁর মতো নেতার উপস্থিতি দলের পক্ষে হিতকর হবে বলেই মনে করেন মোদী-শাহরা (Modi-Shah)। তাই ফের একবার রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত স্বপন দাশগুপ্ত। বাংলার বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর এক মাসের মধ্যেই রাজ্যসভায় ফের মনোনীত হয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত। আপাতত ২০২২ সাল পর্যন্ত এই পদে থাকবেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.