কলকাতা: তাৎক্ষণিক বুদ্ধি খাটিয়ে পাচারের (Trafficking) হাত থেকে বাঁচলেন দুই যুবতী (young lady)। শিশু দেখাশোনার কাজ দেওয়া হবে, বিনিময় মিলবে মাসে ৩৫ হাজার টাকা। কাজের লোভ দেখিয়ে ২ যুবতীকে পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা (traffick gang)।পাল্টা টাকার(money) লোভ দেখিয়ে বাঁচল তারা।
পাচারকারীদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে উপস্থিত বুদ্ধিতে রক্ষা পেল দুই যুবতী। আটক এক মহিলা পাচারকারী তবে ঘটনাস্থল থেকে দুই পাচারকারী যুবক পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা হাবরা থানার অন্তর্গত তিন নম্বর রেল কলোনিতে।
সূত্রের খবর হাবরা ৩ নম্বর রেলকলোনির দুই দরিদ্র ১৮ ও ২২ বছরের যুবতীকে মোটা টাকার বিনিময় কাজের লোভ দেখানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল বাচ্চা দেখাশোনার জন্য দেয়া হবে মোটা অংকের টাকা। জানা যায়, সোমবার সকালে হাবরা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতা থেকে চিৎপুর নিয়ে যাওয়ার পর পাচারকারী দীপ্তি সরকার, রাজু সরকার ও রঞ্জিত নামের এক যুবকের কথা শুনে সন্দেহ জাগে যুবতীদের। এরপর তাদের থেকে রক্ষা পেতে উপস্থিত বুদ্ধি খাটায় দুই যুবতী।
তারা পাচারকারীদের মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে চিৎপুর থেকে হাবরা নিয়ে আসে এবং পাচারকারীদের ধরতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল এলাকাবাসীরা। এলাকাতে ঢুকতেই এক মহিলা পাচারকারীকে ধরলেও ২ পাচারকারী যুবক পালিয়ে যায়। মহিলা পাচারকারীকে ধরা পড়তেই দুই যুবতী জানায়, তারা কিভাবে এই ফাঁদে পড়েছিল। ঘটনাস্থলে হাবরা থানার পুলিশ এসে ওই মহিলা পাচারকারীকে আটক করেছে এবং থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে যে কে বা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত।।
সম্প্রতি বাংলাদেশি কিশোরীকে ভারতের কেরল রাজ্যে পাচার করার অভিযোগ উঠেছিল এক টিকটকারের বিরুদ্ধে।তার নাম হৃদয়।অভিযোগ তার গ্যাং দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
ঢাকা পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীকে টিকটক ভিডিও দেখিয়ে প্রেমে ফুঁসলিয়ে পাচার করা হয়েছিল।
কেরল থেকে ওই কিশোরীকে কর্নাটকের (Karnataka) একটি পতিতাপল্লীতে পাচার করা হয়। সেখানে নির্যাতনের ভিডিও আপলোড করেই নিজেদের চিহ্নিত করেছিল হৃদয়। ভিডিও ভাইরাল হয়। বাংলাদেশে এই ভিডিও ছড়াতেই কিশোরী ও নির্যাতনকারীদের পরিচয় নিয়ে সোশ্যাল সাইটে লেখালেখি শুরু হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার সেল তদন্তে নামে। হাতে আসে টিকটক হৃদয়ের বিবরণ। সেই সূত্র ধরে ভারত সরকারের কাছে তথ্য পাঠানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (DMP) জানাচ্ছে, ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার ওপর কিশেরীর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ২০১৪ সালে কুয়েত থাকা এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেই বিয়ে শ্বশুরবাড়ির কেউ মেনে নেয়নি। বিয়ের পর তাকে শ্বশুরবাড়ির কেউ মেনে নেয়নি। প্রায় ৫ বছর পর পর্যন্ত বাপের বাড়ি কিশোরঞ্জেই ছিল। সৌদি আরবে কাজের জন্য দালাল চক্রকে টাকা দেওয়ার নাম করে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয় সেই কিশোরী।
তদন্তে উঠে এসেছে ঢাকায় আসার পরেই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় টিকটক হৃদয় গ্যাংয়ের সঙ্গে। তাকে প্রেমে ফুঁসলিয়ে ভারতে নিয়ে গিয়ে পতিতাপল্লীতে বিক্রি করা হয়। তার আগে গণধর্ষিতা হয় কিশোরী। ভারতে ধরা পড়া অভিযুক্ত ও কিশোরীকে বাংলাদেশে দ্রুত আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে আলোচনা হবে। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ইন্টারপোলের।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.