হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিহারের 'সাইকেল গার্লে'র বাবা মোহন পাসওয়ান

‌গত বছর দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালীন অসুস্থ বাবাকে গুরুগ্রাম থেকে বিহারে ১২০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে নিয়ে এসেছিল পরিযায়ী শ্রমিক জ্যোতি কুমারি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জ্যোতির বাবা মোহন পাসওয়ান। বিহারের দ্বারভাঙাতেই তিনি মারা যান।

father of bihar girl who cycled 1200 km with him last year passes away


প্রায় একবছর আগেই গুরুগ্রাম থেকে আহত বাবাকে সাইকেলে চড়িয়ে দ্বারভাঙার বাড়িতে ফিরেছিল জ্যোতি। প্রায় আটদিন ধরে জ্যোতি সাইকেল চালায়। লকডাউনের সময় গুরুগ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে বাবা ও মেয়েকে তুলে দিতে পারে এই আশঙ্কা করে জ্যোতি তার আহত বাবাকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে বাড়ি পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে নিয়ে আসে।

কমেছে কাশি, হয়েছে ঘুম, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি কমেছে কাশি, হয়েছে ঘুম, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি

জ্যোতি তাঁর সফর শুরু করেছিল গত বছরের ৭ মে এবং বিহারের বাড়িতে পৌঁছায় ১৬ মে। সেই সময় মোহনের একটি দুর্ঘটনায় হাঁটুতে চোট লেগেছিল। বাবা ও মেয়ের জমানো সব টাকা প্রায় শেষ, খাওয়ার জন্য দু’‌বেলা লড়াই করতে হচ্ছে রীতিমতো অথচ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য কোনও বাস–ট্রেন নেই, তাই বাধ্য হয়ে মেয়েকে এ ধরনের দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিতে হয়। জ্যোতির এই কাহিনী স্পর্শ করেছিল সেই সময় অনেককে। রাজনীতিবিদ থেকে সরকারি আমলা এবং শিল্পতি থেকে প্রবাসী ভারতীয় সকলেই জ্যোতির এই উদ্যোগকে কুর্নিশ করে। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পও তাঁর সফরটিকে '‌সহনশীলতার সুন্দর কীর্তি’‌ বলে অভিহিত করেছিলেন। জ্যোতি এরপর সাইকেলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ট্রায়ালের প্রস্তাব পান, যা পরে জ্যোতি যেতে চায়নি কারণ সে ওই সময় পড়াশোনার দিকে মনোযোগ দিতে চেয়েছিল।

More BIHAR News  

Read more about:
English summary
father of bihar girl who cycled 1200 km with him last year passes away