মুম্বই: বলিউডের মতো সুবিশাল ইন্ডাস্ট্রিতে বারংবার উঠে এসেছে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। এবার যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে ‘কাল কিসনে দেখা’ (Kal Kissne Dekha) ছবি খ্যাত অভিনেতা জ্যাকি ভাগনানির (Jackky Bhagnani) বিরুদ্ধে। অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের (Molestation) অভিযোগ তুলে পুলিশের দারস্থ হয়েছেন মুম্বইয়ের ২৮ বছরের এক মডেল। এদিন জ্যাকি সহ মুম্বইয় ইন্ডাস্ট্রির আরও একাধিক নামী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই তরুণী।
অভিযোগকারী ওই মডেল প্রথমে মুম্বইয়ের অন্ধেরি থানায় এফআইআর (FIR) দায়ের করেন। সেখানকার ডিসিপি মহেশ্বর রেড্ডি ওই মডেলের অভিযোগ বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তার বেশিরভাগ অভিযোগ মুম্বই বান্দ্রা অঞ্চলের আওতাধীন হাওয়ায় পরে তার মামলা বান্দ্রা ডিসিসি জোন ৯ অফিসে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এদিন ওই মডেলের অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা – প্রযোজক জ্যাকি ভাগনানি, টি-সিরিজের (T-Series) প্রযোজক কৃষণ কুমার (Krishan Kumar), ফটোগ্রাফার কলস্টন জুইয়ান (Colston Juian), আহা কোম্পানির (Aha Company) সিইও (CEO) অজিত ঠাকুর, কেওয়ান এন্টারটেইনমেন্টের (Kwan Entertainment) সহ প্রতিষ্ঠাতা অনির্বাণ ব্লাহ (Anirnan Blah), জোরোধা কোম্পানির (Zorodha) সহ প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাত (Nikhil Kamath), প্রযোজক বিষ্ণুবর্ধন ইন্দুর (Vishnuvardhan Induri) মতো ইন্ডাস্ট্রির এক ডজন ব্যক্তিত্ব।
প্রাথমিকভাবে মুম্বই পুলিশ ওই মডেলের অভিযোগ অনুযায়ী ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধরা (মহিলাকে ক্রমাগত ধর্ষনের চেষ্টা), ৩৫৪ ধারা (যৌন নিগ্রহ) মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী ওই মহিলা মডেলিং ছাড়াও একজন গীতিকার এবং শিল্পীও বটে। তিনি অভিযোগ করেছেন ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওই সকল ব্যক্তিদের দ্বারা একাধিকবার যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। কখনও বাড়িতে ডেকে তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়েছে, তো আবার কখনও অফিসে। কারুর কারুর বিরুদ্ধে তিনি কাজের বিনিময়ে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন। যদিও অভিযুক্ত প্রত্যেকেই নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টে ওই মডেলের বিরুদ্ধেই ব্ল্যাকমেল (Blackmail) করার অভিযোগ এনেছে অনেকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.