মেয়েরাই এগিয়ে
এবারের এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে প্রথম সোনাটি এনে দেন পূজা রানি, ৭৫ কেজি বিভাগে। রুপো জেতেন মেরি কম (৫১ কেজি), অনুপমা (৮১+ কেজি) ও টুর্নামেন্টে অভিষেক হওয়া লালবুয়াতসাইহি (৬৪ কেজি)। সিমনরনজিৎ কৌর (৬০ কেজি), লভলিনা বর্জোহাইন (৬৯ কেজি), জেসমিন (৫৭ কেজি), সাক্ষী চৌধুরী (৬৪ কেজি), মণিকা (৪৮ কেজি), সাওইতি (৮১ কেজি) জিতেছেন ব্রোঞ্জ। টোকিও অলিম্পিক্সে যাঁরা রিংয়ে নামবেন তাঁদের মধ্যে পূজাই একমাত্র এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন।
অলিম্পিক্সের ৯ বক্সার
পুরুষদের বক্সিংয়ে ৯১ কেজি বিভাগের সোনাজয়ী সঞ্জিত অবশ্য টোকিও অলিম্পিক্সের টিকিট পাননি। ভারতের যে নয় বক্সায় টোকিও অলিম্পিক্সে যাবেন এবং এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন তাঁদের মধ্যে সোনা জিতলেন একমাত্র পূজা রানি। টোকিওগামী বক্সারদের মধ্যে অমিত পঙ্ঘল (৫২ কেজি) ও মেরি কম (৫১ কেজি) রুপো জিতেছেন। বিকাশ কৃষ্ণন (৬৯ কেজি), সিমরনজিৎ কৌর (৬০ কেজি) ও লভলিনা বর্জোহাইন (৬৯ কেজি) জিতেছেন ব্রোঞ্জ। আশিস চৌধুরী (৭৫ কেজি) কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যান। মণীশ কৌশিক (৬৩ কেজি) ও সতীশ কুমার (+৯১ কেজি) অসুস্থতার কারণে এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারেননি।
পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট
ভারতীয় পুরুষ বক্সাররা পদক জয়ের নিরিখে মহিলাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও তাঁদের পারফরম্যান্সে খুশি ভারতীয় পুরুষ বক্সারদের হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর সান্তিয়াগো নিয়েভা। তিনি বলেন, বক্সারদের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট। পদক জেতার নিরিখে আমি এটা বলছি না। অমিত পঙ্ঘল অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া করলেও দারুণ ফর্মে রয়েছেন। ফাইনালে তাঁর সেরা পারফরম্যান্সই আমরা দেখতে পেয়েছি। আমরা তো ভেবেছিলাম অমিতই জিতে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, বিতর্কিত স্প্লিট ডিসিশনে ২-৩ ব্যবধানে হেরে যান অমিত। নিয়েভা আরও বলেন, সেমিফাইনালে বিকাশ দুর্ভাগ্যজনকভাবে চোট না হলে ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। রুপোজয়ী শিবা থাপাও ভালো খেলেছেন। এমনকী পদক না জিতলেও আশিসও ভালো পারফরম্যান্সই উপহার দিয়েছেন। টোকিও অলিম্পিক্সের জন্য বক্সাররা ৮০ শতাংশ তৈরি। বাকি ২০ শতাংশ খামতি গেমস শুরুর আগেই মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। ক্লোজ রেঞ্জ বক্সিং ও বডি পাঞ্চের ক্ষেত্রে যে কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে তা বক্সারদের সঙ্গে কথা বলে দূর করতে চান নিয়েভা।
প্রস্তুতি শিবির
এপ্রিলে জাতীয় কোচ সি এ কাট্টাপ্পা করোনা আক্রান্ত হয়ে দশদিনের জন্য কোয়ারান্টিনে ছিলেন। সবমিলিয়ে দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাহত হয়েছিল বক্সারদের প্রস্তুতি। বক্সাররা কে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন তা বুঝে নিতে এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপই ছিল সেরা মঞ্চ। নিয়েভা জানিয়েছেন, আপাতত কয়েকটা দিনের বিশ্রামে থাকবেন বক্সাররা। তারপর বিদেশেই হবে তিন সপ্তাহের প্রস্তুতি শিবির। কোথায় সেটা হবে, কবে থেকে শুরু হবে তা শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে। সেই শিবির শেষে ফাইন টিউনিংয়ের জন্য ভারতে ফেরা হবে। ২৩ জুলাই টোকিও অলিম্পিক্স শুরুর কথা। তার পাঁচ বা সাত দিন আগে ভারতীয় বক্সাররা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই টোকিও পৌঁছাবেন বলে স্থির হয়েছে।