নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ (Corona 2nd Wave) আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। রাজ্যে-রাজ্যে চালু হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। প্রায় লকডাউনের সম্মুখীন গোটা দেশ। বন্ধ রয়েছে বড় বড় কারখানা। চাকরি (Job) গিয়েছে অনেকের। বর্তমান পরিস্থিতিতে বেকারত্ব (Unemployment) এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করলো সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE) । তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে ১ কোটিরও বেশি দেশবাসী চাকরি হারিয়েছে। সংস্থাটি অনুমান করছে যে, মে মাসের শেষে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশের কাছাকাছি থাকতে পারে, এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশ।
CMIE দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্টটি বেশ উদ্বেগজনক। এই রিপোর্টে এমন অনেক বিষয় অনুমান করা রয়েছে তা যদি সঠিক প্রমাণিত হয় তবে বেকারত্ব নিয়ে আরোও একটি নতুন সমস্যা দেখা দেবে। CMIE-এর তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় তরঙ্গে গ্রামের তুলনায় শহরে বেকারত্ব বেড়েছে। শহরে বেকার হয়েছে ১৪.৩৭ শতাংশ। সেই তুলনায় গ্রামের বেকারত্বের হার ১০.৬৩ শতাংশ। মে মাসে, যখন করোনার মহামারীর কারণে কেন্দ্রীয় সরকার যখন দেশব্যাপী লকডাউন জারি করেছিল তখন বেকারত্বের হার রেকর্ড ছুঁয়েছিল। তখন বেকারত্বের হার ছিল ২৩.৫ শতাংশ।
CMIE-এর চিফ এক্সিকিউটিভ মহেশ ব্যাস বলেছেন যে, এখন দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে, মনে হচ্ছে কিছুটা উন্নতি হবে, তবে এখনও স্বস্তি নেই। ব্যাসের মতে, ফর্মাল সেক্টরে যারা কাজ করছেন, যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের আবার চাকরি পেতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে, তবে অসংগঠিত খাত কিছুটা হলেও চাকরির জায়গা তৈরী হয়েছে। ব্যাসের মতে, বর্তমান বাজারে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের হার ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগে ছিল ৪২.৫ শতাংশ। ভারতের অর্থনীতিতে ৩-৪ শতাংশ বেকারত্ব স্বাভাবিক, আরও বেকারত্ব নেমে আসবে।
CMIE ১.৭৫ লক্ষ পরিবার নিয়ে দেশব্যাপী জরিপ চালিয়েছে, যেখানে কেবলমাত্র ৩ শতাংশ পরিবার বলেছিলেন যে তাদের আয়ের পরিমাণ বেড়েছে, ৫৫ শতাংশ পরিবার বলেছেন যে তাদের আয় হ্রাস পেয়েছে। বাকি ৪২ শতাংশ বলেছিল তাদের আয়ের উপর তেমন প্রভাব পড়েনি। মুদ্রাস্ফীতির বিবেচনায়, প্রায় ৯৭ শতাংশ পরিবারের আয় হ্রাস পেয়েছে। যেসব পরিবারগুলির আয় কমেছে তারা তো আছেই, পাশাপাশি যাদের আয়ও কমেনি তাদের উপরও মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। যেভাবে জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে সেই তুলনায় ইনকাম কম তা বলা যেতেই পারে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.