কাশ্মীরঃ বাচ্চাদের ছেলেবেলাটা কাটুক হাসি খুশিতে। এটা আমরা নিজেদের মনে মনেই চায়! বাস্তবে আমরা তাদের উপর চাপিয়ে দিই পড়াশুনার ভারি বোঝা। আমরা চাই বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠুক! তবে তাদের উপর সেই চাপটা কেমন প্রভাব ফেলছে তা আমরা কতটা খতিয়ে দেখি, তা নিজেরাই জানি। তার উপরে দোসর দেশের করোনা পরিস্থিতি। যার জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ। বাচ্চাদের পড়াশুনাও হয়ে উঠেছে অনলাইন নির্ভর। নেই ক্লাসে বসে বন্ধুদের সাথে খুনসুটির সুযোগ, নেই টিফিন ভাগ করে খাওয়ারও সুযোগ। এমন পরিস্থিতিতে তারা বাড়িতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনলাইনে ক্লাস করছে। এবার তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিল এক কাশ্মীরি একরত্তি। তাও আবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেই (PM Modi)।
সেই ‘ছ’বছরের একরত্তি মেয়ের মোদীর কাছে কিউট অভিযোগের (Cute Complaint) ভিডিও সাড়া ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেয়েটি মোদীর কাছে প্রশ্ন করে, ‘ছোট বাচ্চাদের কেন এত চাপ ? এত চাপ তো বড়দের হওয়া উচিত।’ সে জানায় ‘আমি সকালে উঠে ১০টাই ক্লাসে বসি, ইংরেজি, উর্দু, কম্পিউটার- এভাবে একেরপর এক ক্লাস চলে দুপুর ২টো পর্যন্ত। ম্যাডাম ও টিচাররাও অনেক বেশি কাজ দেন’। তারপরই একরত্তির প্রশ্ন, ‘বাচ্চাদের কেন এত বেশি কাজ দেওয়া হয় মোদী সাহেব ?’
সোশ্যাল মিডিয়ায় একরত্তির ওই ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিও (Viral Video) নেটিজেনদের চিন্তাভাবনা নাড়িয়ে দিয়েছে। ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল (Viral) হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই ছোট্ট মেয়েটির হোমওয়ার্ক নিয়ে কিউট অভিযোগটি তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছে। নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই মন্তব্য করতে থাকে, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। আমরা বড়রা যেখানে ১ ঘণ্টার বেশি ভিডিও মিটিং-এ মন বসাতে পারিনা, সেখানে বাচ্চাদের থেকে কীভাবে সেটা আশা করি।’
Modi saab ko is baat par zaroor gaur farmana chahiye😂 pic.twitter.com/uFjvFGUisI
— Namrata Wakhloo (@NamrataWakhloo) May 29, 2021
অন্যদিকে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দেওয়ার পরপরই, তা নজরে আসে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল মনোজ সিনহার (Manoj Sinha)। তিনি টুইট করে বলেন, ‘মিষ্টি অভিযোগ। কিন্তু বাচ্চাদের উপর বোঝা কমাতে হবে।’ তিনি এও বলেন, ‘শিক্ষা দফতরকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তাঁদেরকে অনলাইন ক্লাসের জন্য উপযুক্ত নতুন নীতিমালা (Online Education Policy) তৈরি করতে হবে’।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.