স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতে নয়া মোড়৷ মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরও তাঁকে শোকজ নোটিশ দিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে অনুপস্থিতির জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনদিনের মধ্যে দিল্লিতে গিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের (২০০৫) ৫১ ধারা অনুযায়ী ওই আইন লঙ্ঘন করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা তিন দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে জানানো হোক’। সশরীরে দিল্লিতে গিয়ে সেটা জানাতে হবে তাঁকে৷ এখনও পর্যন্ত আলাপন ওই শো কজ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে নবান্ন সূত্রের খবর, তিনি যথাবিহিত ওই চিঠির জবাব দেবেন।
সোমবার নর্থ ব্লকে কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনি দিল্লি যাননি। বরং মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে ছিলেন। নির্ধারিত সময় দিল্লিতে কাজে যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো-কজ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এদিন নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে তাঁকে নিযুক্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জুন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা পদে নতুন কর্মজীবন শুরু করছেন তিনি। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের শোকজ করল কেন্দ্র৷ জানতে চাওয়া হল ইয়াস নিয়ে কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কেন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন?
আরও পড়ুন: মোদীর বৈঠক বয়কটের ইঙ্গিত মমতা তাঁকে আগেই দিয়েছিলেন, দাবি ধনকড়ের
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি রুখতে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু এদিন বিকেলে পাঁচটার কিছুক্ষণ আগে রাজ্যকে পালটা চিঠি দেয় কেন্দ্র। তাতে মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে কেন্দ্রের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতেই ক্ষুব্ধ হন মমতা৷ বলেন, “ কী কারণে মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রে যোগ দিতে বলা হচ্ছ , চিঠিতে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিশোধমূলক আচরণ। এত নির্দয়, এত নির্মম প্রধানমন্ত্রী আমি আগে কখনও দেখিনি।”
রাজ্য সরকারের তরফে সোমবার মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেছেন, মুখ্যসচিব প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেছেন।’’ চন্দ্রিমার প্রশ্ন, ‘‘ওয়াক আউটের প্রশ্ন কোথা থেকে আসছে? মুখ্যসচিব তো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ছিলেন। বরং মুখ্যমন্ত্রীকেই বসিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠক তো হয়ইনি। উল্টে তাঁকে বাইরে বসিয়ে রেখে ভিতরে বিজেপি-র বৈঠক করেছেন মোদী। এটা বাংলার মানুষের অপমান। আসলে বাংলাকে অপমান করেছেন ওঁরা।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.