দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেই সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছিল মারণ করোনা। উদ্বেগ বেড়েছিল দিল্লি সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যে। করোনার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি হরিয়ানাও। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে হরিয়ানায় এখনও পর্যন্ত যত মানুষ করোনার কারণে মারা গিয়েছেন তার অর্ধেকের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন শুধুমাত্র মে মাসে। আর তাতেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ।
এদিকে গত দুই মাস ধরেই হরিয়ানায় করোনা সংক্রমণ নতুন করে মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যাও। এদিকে এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত হরিয়ানাতে মৃতের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২১৬। কিন্তু ঠিক এক মাস পরে মে মাসের ৩১ তারিখে তা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩০৩। সহজ কথায় একমাসে মৃত্যু বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
অন্যদিকে শুধু মৃতের সংখ্যা নয় গত এক মাসে আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এপ্রিলের শেষে যেখানে গোটা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৭৮ তা মে মাসের শেষে এসে দাঁড়ায় ৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৩৫। করোনা কবলে পড়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গুরগাঁও, ফরিদাবাদ,হিসারের মতো জেলাগুলি। আর তাতেই নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ।
করোনা মহামারি আবহে নাগপুরের সরকারি হাসপাতালের ২৩০ জন চিকিৎসক গণ ছুটিতে
গত একমাসে শুধুমাত্র গুরগাঁওয়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪৭৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮১৩। ফরিদাবাদে মৃতের সংখ্যা ৫১২ থেকে বেড়ে ৭০৮ হয়ে যায়। হিসারে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৪০ থেকে বেড়ে ৮৭০ হয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এনসিআরের মধ্যে পড়া জেলাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২২ হাজার থেকে বেড়ে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৬০ হয়ে যায়।