নয়া দিল্লিঃ দেশজুড়ে মারণ ভাইরাসের (Corona) তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও, থেমে নেই মৃতের সংখ্যাও। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাঁধ সেধেছে দেশের বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে নেই শয্যা, মিলছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেনও। এহেন সংকটজনক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে দিনরাত এক করে লড়াই করে চলেছেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। একেবারে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধার তকমা পাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে এই সংকটকালে অসহায়দের সাহায্যে পিছিয়ে নেই পুলিশ আধিকারিকরাও। সেখান থেকেই একেরপর এক উঠে আসছে কুর্নিশ জানানোর মত ঘটনা। সাধারণ মানুষ যে যার সাধ্যমত দেশের করোনা সংক্রমণ রুখতে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন। সেখানে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা করে যাচ্ছেন একেরপর এক ত্যাগ স্বীকার।

আজ আমরা তুলে ধরব তেমনই এক পুলিশ আধিকারিকের কথা, যিনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুবরণ করা রোগীদের শেষকৃত্যে সাহায্য করে চলেছেন নিরলস ভাবে। করোনায় যে সমস্ত মৃতের পরিবার দেহ নিতে অস্বীকার করে, এই পুলিশ আধিকারিক তাদের দাফন থেকে শেষকৃত্যের যাবতীয় বন্দোবস্ত করে। এবার তাঁকে দিল্লি পুলিশের তরফেও কুর্নিশ (Real Hero) জানানো হয়। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে আগেই তার একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, একজন পুলিশ আধিকারিক শেষকৃত্যের জন্য শ্বশানে উপস্থিত অ্যামবুলেন্স থেকে এক করোনায় মৃত দেহ নামিয়ে চিতার ধারে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, ওই পুলিশ আধিকারিক দিল্লি পুলিশের এএসআই। তিনি শ্মশানে সুষ্ঠু ভাবে দাহ সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের দ্বারা কর্তব্যরত ছিলেন। তবে অত্যন্ত হৃদয়চুম্বী ঘটনা হল। ওই পুলিশ আধিকারিকের মেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সম্প্রতি। কিন্তু তিনি শ্মশানে মানুষজনদের সাহায্য করার জন্য মেয়ের বিয়েই থামিয়ে দেন বলে জানা যাচ্ছে।

#DelhiPolice ASI Rakesh 56yr old, father of 3, lives in PS Nizamuddin barrack. On duty at Lodi Road crematorium since 13 Apr, has helped over 1100 last rites, himself lit pyre for over 50. Postponed daughter’s marriage due yesterday to attend to #covid duties#DilKiPolice #Heroes pic.twitter.com/eHQvdmibpp

— Ishfaq Malik (@therealishfaq95) May 6, 2021

 ওই পুলিশ (Delhi Police) আধিকারিকের কথায়, দেশের যখন এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে, তখন ‘মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা কীভাবে ভাবতে পারি’। পাশাপাশি রকেশ কুমার নামে ওই পুলিশ আধিকারিক এও জানান যে, ‘তিনি করোনার দুটো ডোজই নিয়েছেন। তাই মানুষের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলেও তাতে কারও সংক্রমণের ভয় নেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও শেয়ার হতেই নেটিজেনরা তাঁকে ‘বীরে’র তকমা দিতে থাকেন। এও জানা যাচ্ছে যে, তিনি এখনও পর্যন্ত প্রায় ১,১০০ মৃতের শেষকৃত্যে (crematoriums) সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.