বিধানসভার ফল বেরনোর পর থেকে হিংসার অভিযোগ
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হয় ২ মে। তারপর থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির নেতা-কর্মী-সহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর থেকে বাদ যাননি বিজেপির প্রার্থীরাও। খোদ যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্করের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ফ্যান পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখনও পর্যন্ত এই হামলার ঘটনায় সারা রাজ্যে বিজেপির প্রায় ৩০-এর ওপরে কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এবিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
৫ সদস্যের বেঞ্চে শুনানি
সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে শুনানি চলছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপিত ছাড়াও এই বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। রাজ্য সরকারকে দেওয়া নোটিশের প্রেক্ষিতে জানানো হয়েছে, অশান্তি এখন নিয়ন্ত্রণে। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল।
হাইকোর্টের নির্দেশ
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। সেখানে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই কমিটিতে জাতীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের একজন করে সদস্য এবং রাজ্য লিগাল সার্ভিস কমিটির একজন সদস্য থাকবেন। এঁরা মূলত ভোটের পর থেকে যাঁরা ঘরছাড়া, তাঁদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নেবেন। প্রত্যেক মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে বলে হাইকোর্টে তরফে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত কলকাতার এন্টালি বিধাসভা কেন্দ্রের মধ্যেই প্রায় দুশো মানুষ ঘরছাড়া বলে হাইকোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল।
৪ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি
আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, এন্টালি বিধানসভা এলাকার যাঁরা ঘরছাড়া, তাঁদেরকে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার মধ্যে রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস কমিটির ইমেলে অভিযোগ জানাতে হবে। সেই অভিযোগ যাচাই করে অভিযোগকারীদের ঘরে ফেরানোর বন্দোবস্ত করবেন ওই তিন সদস্যের কমিটি। স্থানীয় থানাকে এব্যাপারে সাহায্য করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক রং, বর্ণ-ধর্ম দেখা চলবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ জুন। ওইদিন তিন সদস্যের কমিটিকে রিপোর্ট জনা দিতে বলা হয়েছে।