করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ আরও কমল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১,৫২,৭৩৪ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন দ্বিগুণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ২,৩৮,০২২ জন। দৈনির মৃতের সংখ্যাও অনেকটাই কমেছে। ৩,১২৮ জন গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন দেশে।
অনেকটাই কমেছে দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রণ। বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যা। দিল্লি আজ থেকেই লকডাউনের রাশ আলগা করছে। মহারাষ্ট্র সরকারও লকডাউন বহাল রাখলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছে। মিজোরামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গত ৫০ দিনে সর্বনিম্ন করোনার দৈনিক সংক্রমণ। সুস্থতার সংখ্যা বেড়েছে ৯১.৬০ শতাংশ।
রাজ্যগুিলতেও কমতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমছে। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা দুই জেলাতেই কমেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে করোনা টিকা করণ। জুন মাসে ১২ কোটি করোনা টিকা হাতে পাবে ভারত। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গোটা দেেশ টিকাকরণ শেষ করতে চাইছে কেন্দ্র। তার তোর জোর শুরু হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে রাশিয়ার করোনা টিকা স্পুৎনিক ভি উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে করোনা টিকার। এখনও পর্যন্ত ২১ কোটির বেশি মানুষের করোনা টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
করোনার থেকেও ভয় ধরাচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। শিশুদের শরীরেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরা পড়তে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও একাধিক লোকের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অনেকে মারাও গিয়েছেন এই সংক্রমণে। দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের সংক্রমণ বাড়ছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, গুজরাত, উত্তর প্রদেশ, বিহার সহ একাধিক রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
সেকেন্ড ওয়েভের সংক্রমণ করলে থার্ড ওয়েভ নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতে থার্ড ওয়েভের সংক্রমণ দ্রত আসতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে। তাতে শিশুরা বেশি সংক্রমিত হবে বলে জানানো হয়েছে। সেকারেণ শিশুদের টিকার পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে ভারত বায়োটেককে শিশুদের করোনা টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।