মুম্বই: অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) ব্যক্তিগত দেহরক্ষী (Bodyguard) কুমার হেগড়ে (Kumar Hegde)। কর্ণাটকে (Karnataka) নিজের গ্রামের বাড়ি থেকেই মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police) গ্রেপ্তার করেছে তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বই পুলিশের একটি টিম শনিবার কর্ণাটকের হেজ্ঞাদাহলি (Heggadahalli) গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে কুমারকে।

মুম্বইয়ের এক মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ, এছাড়াও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কুমারকে। এক পুলিশ অফিসার সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমার মুম্বই (Mumbai) থেকে পালিয়ে গিয়ে হেজ্ঞাদাহলিতে নিজের গ্রামের বাড়িতে উঠেছিল।

মুম্বইয়ের আন্ধেরি অঞ্চলের এক বিউটিশিয়ান কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ তুলেছেন। ধর্ষণের পাশাপাশি প্রতারণা (Cheating) এবং বিকৃত যৌন (Unnatural sex) আচরণের অভিযোগও তুলেছেন। গত ১৯ মে ওই বিউটিশিয়ান মুম্বইয়ের ডিএন নগর (DN Nagar) থানায় কুমারের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code/ IPC) ৩৬৭ (376) ধারা অনুযায়ী ধর্ষণ, ৩৭৭ (377) ধারা অনুযায়ী বিকৃত যৌনতা এবং ৪২০ (420) ধারা অনুযায়ী প্রতারনাত অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে কুমারের বিরুদ্ধে।

নির্যাতিতার অভিযোগ ছিলো, বিগত আট বছর ধরে কুমারের সঙ্গে পরিচয় আছে তার। গত বছর লকডাউনের (Lockdown) সময় জুন মাসে কুমার বিয়ের প্রস্তাব দেন তাঁকে। দুজনে লিভ ইন (Live – in) সম্পর্কে থাকতেও শুরু করেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন তারা। কিন্তু গত ২৭ এপ্রিল তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয় কুমার। সেই টাকা নিয়ে কুমার কর্ণাটক (Karnataka) যান। তারপর থেকেই তার সঙ্গে কোন যোগাযোগ রাখেননি কুমার। এরই মাঝে এক মহিলা নিজেকে কুমারর মায়ের পরিচয় দিয়ে বিউটিশিয়েনকে ফোন করেন। ওই মহিলার থেকে জানতে পারেন, কুমার অন্যত্র বিয়ে করেছেন। তার সঙ্গেই থাকছেন এখন। এর পরেই কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন ওই নির্যাতিতা।

দেহরক্ষী হলেও কুমারকে নিজের পরিবারই মনে করতেন অভিনেত্রী। কুমারের জন্মদিন উৎযাপন করেছেন কঙ্গনা। তবে এখনও নিজের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর গ্রেপ্তারের বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.