কলকাতা: করোনা (Coronavirus) সঙ্কটে বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। তারউপর দোসর বর্ষা (Monsoon)। সংক্রমণের সময়। এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো রোগ দ্রুত সংক্রমিত হয়। চিকিসকেরা বলছেন, এই সমস্ত রোগ আমাদের হজমশক্তি বা ডাইজেসটিভ সিস্টেমকে দুর্বল করে তোলে। সেই কারণেই আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে৷ এই সময় কী খাবেন, কীভাবে শরীরের যত্ন নেবেন-সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস (Dr. Arindam Biswas) ও সুদীপ্ত মিত্র (Dr. Sudipta Mitra)৷
কী খাবেন, কী খাবেন না
প্রতি বছর বর্ষার সময়ে অপ্রত্যাশিত রোগগুলি বিশেষ করে ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি এই রোগগুলিও বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে। একাধিক সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, মহামারী সৃষ্টিকারী বিভিন্ন রোগ বর্ষায় তার প্রভাব ও সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে৷ তাই এই সময় ডিম, দুধ, মাংস এবং ডালের মতো প্রোটিন জাতিয় খাবারগুলি অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। ঘরে তৈরি খাবার এবং ড্রাই ফ্রুটস-খান
শরীরকে হাইড্রেট রাখতে বেশি করে জল খেতে হবে। যাতে শরীরে জলের অভাব না হয়। দিনে কম করে ৮ গ্লাস জল খাওয়া দরকার। জল অবশ্যই ফুটিয়ে পান করুন৷
দই ও অন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। বর্ষাকালে আপেল, পেয়ারা, কলা, নিয়মিত খাওয়া দরকার । শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি গেলে অনেক রোগই কমে। এছাড়া, দুগ্ধজাত দ্রব্য নিয়মিত খাওয়া দরকার। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কী করবেন, কী করবেন না
একবার বৃষ্টিতে ভিজলে বাড়ি ফিরেই স্নান করে নেওয়া দরকার। ভিজে ফিরে শুকনো করে মুছে নেওয়ার আগে, একবার স্নান করে নিন। তারপর ভাল করে গা মুছে নিন। তাহলে সর্দি, কাশির সম্ভাবনা কম থাকবে।
চোখে আঙুল দেওয়ার অভ্যাস বা চোখ চুলকানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
কারও কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা হলে আলাদা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে সেই চোখ মুছতে হবে। সমস্যা সেরে গেলেও কিছুদিন এটা মেনে চলতে হবে।
কারও চোখে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই বারবার বিছানার চাদর বদলানো, বালিশের কভার বদলান৷
চোখে ঠান্ডা সেঁক নিয়মিত দিতে হবে।
আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে অনেক সময় গরম সেঁকে কাজ হয়। তবে জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
নিয়মিত ব্যয়াম করুন। পর্যাপ্ত ঘুমোন। তাতে শরীর সুস্থ থাকবে।
ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে মাস্ক পরবেন না
ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে মাস্ক মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাসের সহজ প্রবেশপথ হয়ে উঠতে পারে। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, “মাস্ক যত দামি হোক না কেন, ভিজলেই তার কার্যকারিতা নষ্ট। তৎক্ষণাৎ তা বদলে ফেলতে হবে। ভিজে মাস্কে শরীরে জীবাণু ঢোকার প্রবল সম্ভাবনা। মাস্কের ভেজা অংশে ভাইরাস জন্মাতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাস্ক সঙ্গে রাখতেই হবে। সেক্ষেত্রে ডিসপোজেবেল মাস্ক থাকলে ভাল।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.