নয়াদিল্লি: করোনার (Corona Virus)দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মত আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। মারণ ভাইরাস করোনার রাশ টানতে রাজ্যে-রাজ্যে শুরু হয়েছে লকডাউন (Lockdown)। লকডাউনের ফলে ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। সিঁদুরে মেঘ দেখছে সাধারণ মানুষ। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তবে চিকিৎসার জন্যে মোটা অংকের টাকা জোগাড় করা এখন বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। জনগণকে এই আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি দিতে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এবার কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পিএফ থেকে টাকা তোলার নিয়মে পরিবর্তন আনার কথা ভেবেছে। অর্থাৎ করোনার ভাইরাস সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য এখন পিএফ থেকে টাকা তোলা যেতে পারে। এর আগে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ যোজনা (PMGKY) এর অধীনে একটি বিশেষ নিয়মে পরিবর্ত এনেছিল, যার অধীনে ইপিএফ সদস্যরা ৭০শতাংশ পিএফ বা তিন মাসের বেতন ও মহার্ঘ্য ভাতা তুলতে পারবেন।

করোনা মহামারী চলাকালীন এই টাকা ইপিএফ সদস্যের যথেষ্ট সাহায্য করেছিল। বিশেষ করে যাদের বেতন ১৫ হাজারের কম তাদের বেশ উপকারে লেগেছিল। আজ পর্যন্ত ৭৬.৩১ লক্ষ পিএফ ক্লেম করা হয়েছে এবং ১৮,৬৯৮.১৫ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন থাবা বসিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus)। এমন পরিস্থিতিতে আবার সাহায্যের হাত আবার বাড়িয়েছে পিএফ কর্তৃপক্ষ। যে সদস্যরা ইতিমধ্যে প্রথম অগ্রিম গ্রহণ করেছেন তারা এখন দ্বিতীয় অগ্রিমের জন্যও আবেদন করতে পারবেন। দ্বিতীয় COVID-19 -এ অগ্রিম প্রত্যাহারের নিয়ম এবং প্রক্রিয়া প্রথম অগ্রিমের ক্ষেত্রে একই। জটিল সময়ে সদস্যদের জরুরি ভিত্তিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের তিন দিনের মধ্যে সদস্যের দাবি নিস্পত্তি করতে বদ্ধপরিকর জনিয়েছে পিএফ কতৃপক্ষ।

এছাড়াও ইডিএলআই প্রকল্পের আওতায় গ্রাহকের মৃত্যুর পরে মনোনীত প্রার্থী ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সুবিধা পাবেন।আগে এই সীমা ছিল ছয় লক্ষ টাকা।ন্যূনতম সীমা দুই লক্ষ থেকে বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ টাকা করা হয়েছে। ২৮ শে এপ্রিল থেকে এই কার্যকর করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটি পরবর্তী তিন বছরের জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.