বর্ষা পেছলো কেরলে
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল কেরলে এবার নির্দিষ্ট সময় ১ জুনের একদিন আগে অর্থাৎ ৩১ মে বর্ষা আসছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানানো হয়েছে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করছে ৩ জুন। দক্ষিণ-পশ্চিম হাওয়া ক্রমেই সেখানে শক্তিশালী হচ্ছে। তা মঙ্গলবার থেকে আরও শক্তি বাড়াতে শুরু করবে। যা সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়াবে। কেরলের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ২০১৭ ও ২০১৮ সাল বাদ দিলে ( ওই দুইবছরে যথাক্রমে ৩০ ও ২৯ মে বর্ষা ঢুকেছিল) গত পাঁচবছরে তার প্রবেশে দেরি হয়েছে। ২০২০ সালে ১ জুন বলা হলেও, শেষ পর্যন্ত তা ৫ জুন প্রবেশ করে। ২০১৯-এ তা প্রবেশ করেছিল ৬ জুন। ২০১৬ সালে তা প্রবেশ করেছিল ৮ জুন।
দায়ী পশ্চিমীঝঞ্ঝা
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে এই কেরলে মৌসুমী বায়ুর আসার দিনে পরিবর্তন হয়েছে। ৭২ ডিগ্রি পূর্ব অক্ষাংশ এবং ৩০ ডিগ্রি উত্তর দ্রাঘিমাংশে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অবস্থান রয়েছে। এছাড়াও আরব সাগর থেকে আর্দ্রতাও ঢুকছে উত্তর-পশ্চিমভারতে। যা আগামী তিন থেকে চারদিন ধরে চলবে। তবে এর কারণে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। এছাড়াও কর্নাটক উপকূলে পূর্ব মধ্য আরবসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে।
সকাল থেকে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় প্রাকবর্ষার বৃষ্টি শুরু
এদিন সকাল থেকেই বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে ভালই বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া দফতরের তরফে এি বৃষ্টিকে প্রাকবর্ষার বৃষ্টি বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে শ্রীনিকেতনে, ৬৩.৬ মিমি। এছাড়াও বৃষ্টি হয়েছে, আসানসোলে (১৩.৯ মিমি), বাঁকুড়া (১৯.২ মিনি), ব্যারাকপুর (২৩.২মিমি), কোচবিহার (৪০.৮ মিমি), ডায়মন্ডহারবার (৩৭.৬ মিমি), দমদম (৩৬ মিমি), হলদিয়া (৪২.৬ মিমি), কলাইকুন্ডা (২৮.৬ মিমি), মেদিনীপুর (৫৩.৪ মিমি), সল্টলেকে (৩৯.৪ মিমি)।
এখনই মৌসুমী বায়ুর কোনও খবর নেই পশ্চিমবঙ্গে
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পশ্চিমবঙ্গের জন্য মৌসুমী বায়ুর কোনও খবর নেই। তবে ১০ জুনের আগে কোনওভাবেই তা আসছে না। এক্ষেত্রে তিনদিন আগে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে। ফলে সরকারি ঘোষণার আগে বিষয়টি নিয়ে কোনও ভাবেই মন্তব্য করতে রাজি নন আলিপুর আবহ দফতরের আবহবিদরা।