মুম্বই: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) লকডাউনের (Lockdown)মেয়াদ আরও বাড়ানো হল। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানার ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Cm Udhhav Thakrey)। তবে জেলাওয়াড়ি সংক্রমণ ছড়ানোর গতি পর্যালোচনার পর কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের যে জেলাগুলিতে পজিটিভিটি কেস ১০ শতাংশের নীচে ও হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন বেডে ৪০ শতাংশের কম রোগী ভর্তি আছেন সেখানেই কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে। তবে সংক্রমণের গতি যে জেলায় এখনও বেশি সেখানে আগেরে চেয়ে আরও বেশি কড়াকড়ি হবে বলে জানিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

দেশে করোনার (Corona) সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ (Second Wave) দেশে আছড়ে পড়ার পরেও নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয় মারাঠাভূমে। রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বেডের আকাল। করোনায় মৃত্যু মিছিল দেখছে মারাঠাভূম। হাজার-হাজার মানুষ প্রতিদিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এখনও। সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করে মহারাষ্ট্র সরকার। এবার সেই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র সরকারের।

কঠিন এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে ধৈর্য রাখতে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, ‘‘খুব কড়া লকডাউন হচ্ছে না। সবাইকে ধৈর্য ধরে থাকতে আবেদন করছি। এই কড়াকড়িতে আমি নিজেও খুশি নই। সাম্প্রতিক সময়ের দাবি মেনেই এটা করতে হয়েছে।’’ এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কমছে। যে গতিতে সংক্রণণ বাড়ছিল তাতে কিছুটা হলেও লাগাম পরানো গিয়েছে। আগামী দিনে সংক্রমণ আরও কমবে। তবে মহারাষ্ট্রের গ্রামীণ (Rural) এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলায় উদ্বেগে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

গ্রামীণ এলাকায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঠাকরে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ লক্ষ ১৩ হাজার ২১৫। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ হাজার ৩০।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.