মুক্তি মিলেছে বিশেষ প্যারোলে, কিন্তু করোনা ভয়ে এই রাজ্যে বাড়ি ফিরতে নারাজ জেলবন্দিরা

করোনা সঙ্কটের জেরে জেলবন্দিদের নিয়ে একাধিক রাজ্যেই নেওয়া হয় বড়সড় সিদ্ধান্ত। মূলত সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু সংশোধনাগারে বন্দিদের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। এমতাবস্থায় সংশোধনাগারে করোনা সংক্রমণ রুখতে নতুন নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই সংশোধনাগারগুলিতে ভিড় কমাতে সেখানকার বন্দি আবাসিকদের প্যারোলে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক রাজ্য সরকার। কিন্তু সাময়িক স্বস্তি মিললেও জেলের বাইরে যেতে রাজি নন অনেক বন্দিই।

করোনা ভয়ে বাড়ি ফিরতে চাইছেন না বন্দি

শুনতে খানিক অবাক লাগলেও, সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। সেখানে ৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দি সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেলেও করোনা ভয়েই বাড়ি যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বাইরের যা অবস্থা তাতে জেলবন্দি থাকাই বেঁচে থাকার জন্য বর্তমানে নিরাপদ উপায় বলে মনে করছেন আশিষ কুমার নামে ওই বন্দি।

অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত ৩২৬ জন বন্দি

এদিকে গত বছরের মতো এবারও উত্তরপ্রদেশে করোনার কারণে বন্দিদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কাজ চলছে। এ পর্যন্ত জেলা কারাগার থেকে ৩২6 জন বন্দিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি সরকারের নির্দেশে আরও ৪৩ জন বন্দিকে বিশেষ প্যারোলে মঞ্জুর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪২ জন চলে গেলেও আশিষ কুমারকে নিয়ে বেকায়দায় পড়ছে প্রশাসন।

কী বলছেন ওই বন্দি ?

আশিষের সাফ যুক্তি যে ভাবে গোটা রাজ্যে সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে করোনা তাতে তিনি ভীত। কারাগারে থাকাই এখন সে সবথেকে নিরাপদ বোধ করছে, তাই তার জন্য বিশেষ প্যারোলের দরকার নেই। তাকে এখানে দেখাশোনা করা হচ্ছে। ওষুধ, অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তাররা সকলেই উপস্থিত আছেন। তাই মুক্তি নিয়ে এখনই না ভাবলেও চলবে।

কী বলছেন জেল সুপার ?

এদিকে এই প্রসঙ্গে জেল সুপার বিডি পান্ডে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জেলে থাকার জন্য লিখিত বিবৃতি দেয়ছেন ওই বন্দি। যা সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তিনি কারাগারে থাকার অনুমোদন পেয়েছেন। এ ছাড়া রাজ্যের নয়টি কারাগারে বন্দী ২৩ জন বন্দী বাড়িতে যেতে অস্বীকার করেছেন বলে খবর। সকলেই লিখেছেন যে তারা বিশেষ প্যারোলের সুবিধা নিতে চান না। তারা জেলেই নিরাপদে রয়েছেন।

More CORONAVIRUS News  

Read more about:
English summary
Uttar Pradesh inmates reluctant to return home due to corona virus infection