সঞ্জিতের সোনা
৯১ কেজি বিভাগে সঞ্জিতের প্রতিপক্ষ ছিলেন অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী কাজাখস্তানের ভাসিলি লেভিট। এবার ফাইনালে সোনা জিতলে এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর সোনা জয়ের সংখ্যা দাঁড়াত চার। ধারে ভারে এগিয়ে থাকা বক্সারকে অবশ্য এদিন দাঁড়াতেই দিলেন না সঞ্জিত। জিতলেন ৪-১ ব্যবধানে। সেনাবাহিনীতে কর্মরত সঞ্জিত ইন্ডিয়া ওপেনেও সোনা জিতেছিলেন। এদিন শক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও প্রথম দুটি রাউন্ডেই তিনি এগিয়ে ছিলেন। শেষের দিকে লেভিট মরিয়া চেষ্টা চালালেও ভারতের সোনা জয় আটকাতে পারেননি।
পঙ্ঘলের রুপো
২০১৯ সালের এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত ১৩টি পদক জিতেছিল, এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। যদিও সোনা জয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়ে রইল দুইয়েই। গতকাল মেরি কমের সোনা হাতছাড়া হয়। এদিন বিতর্কিত স্প্লিট ডিসিশনে রুপো জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় অমিত পঙ্ঘলকে। দ্বিতীয় রাউন্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত প্রতিবাদ জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। টোকিও অলিম্পিক্সেও নামবেন গতবারের এশিয়ান বক্সিংয়ে চ্যাম্পিয়ন অমিত। এদিন তিনি টুইট করে এই পদক উৎসর্গ করেন তাঁর কোচ অনিল ধনকড়কে। তাঁর ব্যক্তিগত কোচ দুবাইয়ে তাঁর পাশে থাকলে আরও ভালো যে হতো টুইটে সেটাই বুঝিয়েছেন পঙ্ঘল।
রুপো জয় শিবার
অমিতের মতো শিবা থাপাও ৬৪ কেজি বিভাগে ২-৩ ব্যবধানে হেরে যান মঙ্গোলিয়ার বাতারসুখ চিঞ্জোরিগের কাছে। অমিতের মতো থাপাও এশিয়ান গেমসে রুপোজয়ী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভালোই লড়াই চালালেও অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া করেন। প্রথম রাউন্ডে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন শিবা। যদিও শেষ রাউন্ডে ক্লোজ পাঞ্চিংয়ে পরাস্ত করেন মঙ্গোলিয়ান প্রতিপক্ষ।
প্রস্তুতিতে খামতি
গতকাল মেরি কম (৫১ কেজি), অনুপমা (৮১+ কেজি) ও টুর্নামেন্টে অভিষেক হওয়া লালবুয়াতসাইহি (৬৪ কেজি) রুপো জেতেন। সিমনরনজিৎ কৌর (৬০ কেজি), বিকাশ কৃষ্ণন (৬৯ কেজি), লভলিনা বর্জোহাইন (৬৯ কেজি), জেসমিন (৫৭ কেজি), সাক্ষী চৌধুরী (৬৪ কেজি), মণিকা (৪৮ কেজি), সাওইতি (৮১ কেজি) ও বরিন্দর সিং (৬০ কেজি) ব্রোঞ্জ জেতেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে অনুশীলন ব্যাহত না হলে ভারতীয়রা আরও ভালো পারফর্ম করতে পারতেন বলে ভারতীয় দলের কোচিং স্টাফেদের তরফে দাবি করা হয়েছে।