ড্রাগ কন্ট্রোলারের সাফাই
গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশন কীভাবে বিপুল সংখ্যক ফ্যাবিফ্লু বিতরণ করতে পারে তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে ড্রাগ কন্ট্রোলার উল্লেখ করেন, গৌতম গম্ভীরের ফাউন্ডেশন যেভাবে ওষুধ বিলি করেছিল তা ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্টের দ্বারা স্বীকৃত। কেন না, ওষুধ দেওয়া হয়েছিল মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকেই। গর্গ হাসপাতালের এক চিকিৎসক এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আইনের কে শেডিউলের ৫ নম্বর ধারার উল্লেখ করা বলা হয়, ড্রাগ লাইসেন্স না থাকলেও একজন চিকিৎসক ওষুধ জড়ো করে তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকা কোনও জায়গা থেকে রোগীদের জন্য তা দিতে পারেন।
পাল্টা প্রশ্ন বিচারপতিদের
যদিও এর পাল্টা প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের বিচারপতিরা জানতে চান, চিকিৎসকের সঙ্গে কোনও যোগ নেই এমন কোনও ফাউন্ডেশন কীভাবে বিপুল সংখ্যক ওষুধ মজুত করতে পারে? কোনও চিকিৎসকও কোনও ডিলারের কাছে গিয়ে ওষুধের চার হাজার স্ট্রিপ চাইতে পারেন? ড্রাগ কন্ট্রোলারের তরফে দাঁড়ানো আইনজীবী নন্দিতা রাওকে ডিভিশন বেঞ্চ এমন কথাও বলেন যে, আইনটা পড়ে দেখেছেন নাকি যে স্টেটাস রিপোর্ট আপনাকে দেওয়া হয়েছে সেটাই আদালতে পেশ করছেন? হাসপাতাল ওই ওষুধ কিনেছিল কিনা সে বিষয়ে জানতে চেয়ে বিচারপতি বলেন, মেডিক্যাল ক্যাম্প যেটাকে বলা হচ্ছে তার ওষুধ কি হাসপাতালের তরফে কেনা হয়েছিল? হাসপাতাল ওই ওষুধ কিনেছিল কিনা সেই সংক্রান্ত নথিও চান বিচারপতিরা।
অস্বস্তিতে গম্ভীর
গৌতম গম্ভীরের ভূমিকাকে কটাক্ষ করে দিল্লি হাইকোর্ট এদিন বলে, এই ধরনের বেআইনি কাজ বন্ধ হওয়া জরুরি। মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছে, দেশ বা রাজ্যে যখনই কোনও সঙ্কট তৈরি হয় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চান। এতে আখেরে সমস্যা বাড়েই, কমে না। আদালত আরও বলে, যখন দেখা যাচ্ছে মেডিক্যাল ক্যাম্পের পরেও ২৮৬টি স্ট্রিপ পড়ে রয়েছে তখন বোঝাই যায় প্রয়োজনের বেশি মজুত করা হয়েছিল। অথচ যখন তা করা হয় এর ফলে বহু মানুষ ওষুধের দোকানে গিয়ে প্রয়োজনের সময়ও ওষুধ পাননি। এই ধরনের অভ্যাসে অবিলম্বে বদল আনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
নতুন রিপোর্ট তলব
গৌতম গম্ভীরকে ক্লিনচিট যে দেওয়া যায় না তা স্পষ্ট করে বিচারপতি বলেন, ড্রাগ কন্ট্রোলারের দেওয়া রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। তিনি দায়িত্ব পালন না করতে পারলে তাঁকে সরিয়ে অন্য কাউকে বসানোর নির্দেশ দিতে বাধ্য হব। এই রিপোর্টে তদন্তের লেশমাত্র প্রমাণ নেই। এর কোনও আইনি ভিত্তি নেই, আবর্জনা ছাড়া এটি কিছুই নয়। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে ফের নতুন রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।