করোনার হাত থেকে বাঁচতে বর্তমানে গোটা বিশ্বজুড়েই চলছে টিকাকরণ। যদিও টিকাকরণ পর্বের শুরু থেকেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ একাধিক বিষয়ে আতঙ্কের সঞ্জার হয় আম-আদমির মধ্যে। যদিও পরবর্তী গণটিকাকরণ শুরু হওয়ার একের পর এক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় নতুন আশার আলো। বর্তমানে এরকমই দুটি নতুন সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি ও টিকার দ্বৈত প্রভাবেই আজীবনের জন্য এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে মানবশরীরে।
এদিকে এর আগে একাধিক সেরোলজিকাল সার্ভেতে দেখা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত ৮৫ শতাংশ ব্যক্তির দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এই ব্যক্তিরা নিজের থেকেই এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছেন। এমনকী ভ্যাকসিন নেওয়াক পর তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে আর কখনওই তাদের ধারে কাছে আসতে পারবে না মারণ করোনা।
যদিও অনেক গবেষকের দাবি করোনা সংক্রমণের পর অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও তা ভবিষ্যতের আক্রমণ থেকে প্রতিরোধের গ্যারান্টি দেয় না। তাহলে এই অ্যান্টিবডিগুলি আসলে কী? এগুলি আদপে নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি। করোনা বিরুদ্ধে সাময়িক সুরক্ষা দিতে সক্ষম হলেও টিকা নেওয়ার পরেই তা আজীবনের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম বলে দাবি নয়া গবেষণায়।
কোভিড ভ্যাকসিন কৌশলে টুইস্ট, দু’টি ভিন্ন ডোজ মিশিয়ে টিকাকরণ, ইঙ্গিত কেন্দ্রের
এদিকে করোনা ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে আজীবন সুরক্ষার বিষয়ে কয়েকদিন আগেই একটি চাঞল্যকর দাবি করে কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক। তাদের দাবি তাদের তৈরি কোভ্যাকসিনের একটি বাড়তি ডোজ (তৃতীয় ডোজ) নিলেই করায়ত্ত হবে লাইফটাইম ইমিউনিটি। এমনকী কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় বুস্টার ডোজের বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণার পরেই তারা এই দাবি করছেন বলে জানানো হয়।