বলরামপুরঃ করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ে চারিদিকে মৃত্যুর হাহাকার। শ্মশানে নিরাবতার জো নেই। তারই মাঝে সম্প্রতি উঠে এসেছিল করোনায় মৃতদেহ নদীতে ভাসার ছবি। যা তোলপাড় করে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এবার সেই নদীতে মৃতদেহ ফেলার ভিডিও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সেই হাড়হিম করা ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জেরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

জানা গিয়েছে, ভিডিওটি (Viral Video) উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)। সেখানকার বলরামপুর জেলায় রাপ্তি নদীর (Rapti River) উপরে রয়েছে একটি সেতু। এদিন সাতসকালে যখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি, তখনই পথচলিত মানুষদের ক্যমেরায় বন্দি হল এই অমানবিক দৃশ্য। তাও আবার খোদ আত্মীয়রাই ঘটাল এই কাণ্ড । এই চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামনে আসতেই ফের করোনার মৃতদের সৎকার ব্যবস্থা প্রশ্নচিহ্নের মুখে যোগীরাজ্যে (Yogi Adityanath)। এই ভিডিওর রেশ ধরে বিরোধীরাও তোপ দাগতে শুরু করেছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পিপিই কিট (PPE Kit) পরা এক ব্যক্তি সেতুর উপর থেকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলছে ওই প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহকে। আর তাকে সাহায্য করছে আরও এক ব্যক্তি। ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল (Viral) হতেই অস্বস্তিতে পড়ে যোগী সরকার। দিনের আলোয় কীভাবে ঘটল এমন কাণ্ড তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়েও। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ মে হাসপাতালে ভর্তি হয় ওই ব্যক্তি। তবে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২৮ মে হার স্বীকার করেন তিনি। পরে হাসপাতালের তরফে সেই দেহ তুলে দেওয়া হয় আত্মীয়দের হাতে। এমনটাই জানিয়েছেন বলরামপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভিবি সিং। তিনি আরও জানান, আত্মীয়রাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা পুলিশে (Balrampur Police) মহামারী আইনে মামলা করেছি।

A man wearing a PPE suit was seen throwing a body from a bridge into Rapti river in UP’s Balrampur district. The entire incident was caught on camera.

Balrampur police clarified in a video body was handed over to family!

Question is why crematorium s not provided,failed state? pic.twitter.com/7faVk1NxhJ

— Vijay Thottathil (@vijaythottathil) May 30, 2021

 জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সঞ্জয় শুক্লা নামে এক অভিযুক্ত সহ তাকে সাহায্যকারী আরও অপরজনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিশ। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, এই গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে এপি মিশ্র নামক এক চিকিৎসকও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.