নয়া দিল্লি: চলমান কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশকে সাহায্য করার জন্য এক নয়া পদক্ষেপ নিল এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। এই বেসরকারি ব্যাঙ্কটি দেশের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার সমস্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করেছে। ব্যঙ্কের তরফে ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে দেওয়া হবে অক্সিজেন প্লান্ট, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং আইসিইউ-এর ভালো পরিকঠামোর ব্যবস্থা।
চলতি বছরে কোভিডের কারণে ১০০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক । এর আগের বছরেও এই বেসরকারি ব্যাঙ্ককে দেশের কোভিড পরিস্থিতির সময়ে ত্রাণ দিতে দেখা গেছিল । গত বছর এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক আর্থিক অনুদান দিয়েছিল ১২০ কোটি টাকা।
কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ২০ টি অক্সিজের প্লান্ট স্থাপন করছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি তৈরি করছে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি কোভিড কেয়ার হাসপাতাল। এছাড়াও ২০০ টিরও বেশি হাসপাতালে প্রাদান করছে একাধিক চিকিৎসার সরঞ্জাম।
শুধুমাত্রা চিকিৎসার খানে নয় শিক্ষা খাতেও সাহায্য করছে ব্যাঙ্কটি। কোভিডের কারণে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ইসিএসএস (শিক্ষা সংকট বৃত্তি প্রকল্প) আওতায় বৃত্তির ব্যবস্থা চালু করছে এইচডিএফসি। এর পাশাপাশি ব্যঙ্কটি গ্রামের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে মাসিক রেশন দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে ।
এইচডিএফসি ব্যাংকের একজন উচ্চ আধিকারিক আশীমা ভাট জানিয়েছে, নিজেদের এনজিও এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং কোভিড কেয়ার হাসপাতাল স্থাপনের কাজ করছে ব্যঙ্ক। এর পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থী এবং কোভিডের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছে।
ভারতে প্রতিটাদিন ক্রমে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিটা দিন সংকটজনক রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলায় কমেছে হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের পরিমাণ। সংক্রমণের রেশ টানতে দেশে চালু করা হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে ১,৬৫,৫৫৩ জন, যেখানে গত ১ দিনে ভাইরাসের কবলে পড়ে প্রাণ হারানো সংখ্যা ৩,৪৬০ জন। বর্তমানে গোটা দেশে মোট কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২,৭৮,৯৪,৮০০ ঘরে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.