স্টাফ রিপোর্টার, সুন্দরবন: ইয়াসের (Cyclone yass) পর মৃত্যু হল এক পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘের (Tiger)। রবিবার সকালে বাঘটিকে হরিখালি ক্যাম্পের হরিণভাঙা জঙ্গলের একটি পুকুরের কাছে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকে বাঘটিকে উদ্ধার করে চিকিত্সার জন্য সজনেখালি পাঠানো হয়। কিন্তু সজনেখালি নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ১১-১২ বছরের এই পুরুষ বাঘটির।
জানা গিয়েছে, এদিন পুকুরের পাশে বাঘটিকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বনকর্মীরা৷ তারা বাঘটিকে খাওয়ার জন্য কাঁচা মাংস, জল দেয়। কিন্তু বাঘটি কিচ্ছু খায়নি। এরপর বনকর্মীরা চিকিৎসকদের খবর দেয়৷ চিকিৎসকরা এসে বাঘটিকে স্যালাইন দেওয়ার চেষ্টাও করেন। এর পর বাঘটিকে সজনেখালি রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই সেটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: করোনায় অনাথ শিশুদের সাহায্যের প্রতিশ্রতি, মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ পিকের
প্রাথমিক অনুমান, ইয়াস এবং ভরা কটালের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে বাঘটি। তবে বাঘটির মৃত্যুর আসল কারণ জানতে ময়না তদন্ত করা হবে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ইয়াসের কারণে জঙ্গলের ভেতর জল ঢুকে গিয়েছিল। সে কারণে ওই দিন হরিণ ও বুনো শুয়োরের জলে ভেসে লোকালয়ের দিকে চলে এসেছিল৷
প্রসঙ্গত, ভারতের সুন্দরবন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি জাতীয় উদ্যান, ব্যাঘ্র প্রকল্প ও বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ। বৃহত্তর সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখণ্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ
জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবনের ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা ও বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ বিচিত্র নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে সুন্দরবন পরিচিত। এখানে রয়েছে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রাজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ সরীসৃপ এবং ৮ টি উভচর প্রাণী।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.