রাঁচিঃ করোনা (Corona) আবহে দিনরাত কাজ করে চলেছেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা (Primary Teachers)। তাই চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের মতো তাঁদেরকেও করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারির যোদ্ধা তকমা দেওয়ার দাবি তুললেন সেখানকার প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন আখিল ঝাড়খণ্ড প্রাথমিক শিক্ষক সংঘ। পাশাপাশি অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা ও প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে তাঁরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, ‘ঝাড়খণ্ডের প্রায় ৫৮ হাজার শিক্ষক রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নিরলস কাজ করে চলেছেন’। তাই তাঁদের অবিলম্বে এই সুবিধা ও তকমা (frontline workers) দেওয়া হোক।
আখিল ঝাড়খণ্ড প্রাথমিক শিক্ষক সংঘ দাবি করেছে, টিকা কেন্দ্র, কোভিড কন্ট্রোল রুম, কোভিড সার্কিট ১০৪ পরিষেবা, কোভিড ওয়ার্ড, অক্সিজেন স্টোর রুম, গ্রামীণ অঞ্চলে কোভিড সেবায় নিয়োগপ্রাপ্ত এই শিক্ষকরা তাদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছন। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে ৫০০ থেকে ১০০০ শিক্ষক মোতায়েন আছে। যারা দিনরাত এক করে কাজ করতে করতে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাই ‘রাজ্য সরকারের এখনই দায়িত্ব নেওয়া উচিত। তাঁদেরকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি করোনা যোদ্ধার তকমা দেওয়া হোক।’ এমনটাই জানাল ‘সংঘ’। এমনকি তাঁরা (Akhil Jharkhand Prathmik Shikshak Sangh) এও দাবি করে যে, চিকিৎসক, নার্স দের মতো তাঁদেরকেও একমাসের বেতন হিসেবে প্রণোদনা (incentives) দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, সরকারি বুলেটিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে ৭৬৮৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং আরও ১৯ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝাড়খণ্ডে এ পর্যন্ত ৩,৩৫,৪১৭ জন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪,৯৪৫ জন মারা গেছেন।
এর পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৫৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিস মিলেছে। যা আগের দিনের থেকে প্রায় দশ হাজার কম। শনিবার দেশে দৈনিক করোনা (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছিল ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯২১ জন। এই নিয়ে টানা তিনদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের নিচে। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০০ জন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.