করোনা ভাইরাসকে বোল্ড করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদানের বন্দোবস্ত করল সিএবি। আজই সিএবি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার-সহ বাংলার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলেন।
কিংবদন্তি ক্রিকেট তথা ক্রীড়া প্রশাসক জগমোহন ডালমিয়ার ৮১তম জন্মদিনেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ শুরু করল সিএবি। এদিনই ইডেনের ক্লাব হাউসে সিএবি, বিসিসিআই তথা আইসিসি-র প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন তাঁর পুত্র তথা সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া, সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সহ সভাপতি নরেশ ওঝা, যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস, কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।
প্রথম পর্যায়ে সিএবি ভ্যাকসিন প্রদানের যে কর্মসূচি নিয়েছিল তাতে ৪৫-এর ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স সেই আম্পায়ার, স্কোরার, অবজারভারা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। আজ দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদানের যে প্রক্রিয়া শুরু হলো তাতে ১৮ থেকে ৪৫ বছর যাঁদের বয়স তাঁরা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। অভিষেক ডালমিয়া বলেন, ক্রিকেটাররা যাতে ভালো থাকেন তার সবরকম ব্যবস্থা করার কাজকেই প্রাধান্য দিতেন জগমোহন ডালমিয়া। তাই তাঁর ভাবনা ও আদর্শকে পাথেয় করেই আজ থেকে আমরা এই উদ্যোগ নিলাম। তাঁর জন্মদিনেই করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলেন বাংলার বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটাররা।
উল্লেখ্য, ক্রিকেট প্রশাসনে থাকাকালীন ক্রিকেটারদের জন্য পেনশন চালু করা থেকে শুরু করে চক্ষুদানে সকলকে উৎসাহিত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সিএবি করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা করেছে আমরি ও অ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। দুটি হাসপাতাল থেকেই ১২০ জন করে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। আমরিতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন দুটোই দেওয়া হচ্ছে। অ্যাপোলোতে কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে।