পোর্তো: ভিসেন্তে দেল বস্কের(Vicente del Bosque) টিকিটাকা ক্লাব ফুটবলে সফলভাবে কার্যকর হয়েছিল তাঁর হাত ধরে। আবার আধুনিক ফুটবলে ‘ফলস নাইনে'(False Nine)-র সবচেয়ে সফল প্রয়োগও বোধহয় তিনিই করেছে। ২০০৮-০৯ এবং ২০১০-১১ বার্সাকে(Barcelona) দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেওয়া সেই পেপ গুয়ার্দিওলা(Pep Guardiola) শনিবার এস্তাদিও দো দ্রাগাও(Estadio Do Dragao)-তে কীভাবে এতবড় ভুলটা করলেন, ভেবে কুল-কিনারা পাচ্ছেন না রিও ফার্দিনান্দ(Rio Ferdinand), জো কোল(Joe Cole), জোলেওন লেসকটরা(Joleon Lescott)। ফাইনালের মঞ্চে ম্যান সিটির(Man City) প্রথম একাদশ দেখে অবাক হয়েছিলেন সবাই। আর যে কারণে অবাক হয়েছিলেন তাঁরা, ঠিক সেটাই এদিন সিটির ফাইনাল হারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াল।

অধিনায়ক ফার্নান্দিনহো(Fernandinho) এবং রদ্রির(Rodri) মতো দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বেঞ্চে বস। এদিকে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনলেন পেপ। ম্যান সিটির প্রথম একাদশে এদিন একইসঙ্গে নেমেছিলেন তিন অ্যাটাকিং মিডিও বার্নার্দো সিলভা(Bernardo Silva), কেভিন দি ব্রুয়েনা(Kevin De Bruyne) এবং ইকে গুন্দোয়ান(Iikay Gundogan)। BT Sport-কে ফার্দিনান্দ ফাইনাল শুরুর আগেই জানান, ‘বল ধরার মতো কেউ নেই। আবার পেপ একই ভুল করল এরকম একটা ম্যাচে। যতবার পেপ এমন আক্রমণাত্মক হতে গিয়েছে দল ভুগেছে। আজ রাতে আবার সেই একই ভুল। এ বছর ৬০টা ম্যাচের মধ্যে এই একটি ম্যাচেই ফার্নান্দিনহো, রদ্রি দু’জনকে একসঙ্গে বসানো হল। এটা বিরাট ঝুঁকি।’

ফার্নান্দিনহোর কথার সূত্র ধরেই কোল জানান, দল নির্বাচনেই বোধহয় চেলসিকে(Chelsea) অর্ধেক জিতিয়ে দিল পেপ। রদ্রি, ফার্দিনান্দকে বসিয়ে আসলে চেলসির আক্রমণকে কী হেয় করলেন পেপ? প্রশ্ন তোলেন কোল। পাঁচ মরশুম ধরে ম্যান সিটির রক্ষণ সামলানো লেসকট আবার প্রথম একাদশে অফ-ফর্মে থাকা রহিম স্টার্লিংকে(Raheem Sterling) রাখার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি। তবে তাঁর একাদশ নিয়ে প্রবল সমালোচনার মাঝেও নিজের সিদ্ধান্তকে ম্যাচ শেষে সমর্থন করেছেন গুয়ার্দিওলা।

স্টার্লিংকে একাদশে রাখা নিয়ে তাঁর যুক্তি, ‘জয়ের সুযোগ তৈরি করতে হলে আমাদের আক্রমণ ছাড়া গতি ছিল না। অবশ্যই রক্ষণও সামলাতে হবে কিন্তু আমরা আক্রমণাত্মক হতে চেয়েছিলাম। আমার সকলকেই প্রয়োজন ছিল।’ সবমিলিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে যে কোনও অনুশোচনা নেই, ম্যাচ শেষে সেটা বুঝিয়ে দেন স্প্যানিশ কোচ। আর গুয়ার্দিওলার স্ট্র্যাটেজির খামতির সুযোগ যিনি সুদে-আসলে কাজে লাগালেন সেই থমাস টাচেলও বললেন, তিনিও ফার্নান্দিনহোকে লাইন-আপে না দেখে অবাক হয়েছিলেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.