কলকাতা২৪x৭: কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের বেতনের তারতম্যের বিষয়টি লম্বা সময় ধরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। সমান খাটনি খেটে পুরুষ সহকর্মীদের থেকে কম বেতন পাচ্ছেন মহিলারা, এমন নজির আকছার। বলিউড থেকে ক্রিকেট- সব জায়গাতেই বিষয়টি বহু সময় ধরে চর্চার শিরোনামে। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড(BCCI) জাতীয় দলের মহিলা ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তি ঘোষণা করার পর বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে পুনরায়। কারণ অস্ট্রেলিয়া পারলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যে পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য সমবেতন চালু করতে পারেনি।
সম্প্রতি বিসিসিআই ২০২০-২১ মরসুমের জন্য জাতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তি ঘোষণা করেছে। ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে জাতীয় দলের সকল মহিলা ক্রিকেটারদের। ‘এ’ বিভাগে রয়েছেন হরমনপ্রীত কর(Harmanpreet Kaur), স্মৃতি মন্ধনা(Smriti Mandhana) ও পুনম যাদব(Poonam Yadav)। তাঁরা পাবেন বার্ষিক ৫০ লাখ টাকা। ‘বি’ ও ‘সি’ বিভাগে থাকা ক্রিকেটারেরা পাবেন যথাক্রমে বার্ষিক ৩০ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা।
অপরদিকে জাতীয় দলের পুরুষ ক্রিকেটারদের চুক্তির ক্ষেত্রে চারটি বিভাগ রয়েছে। ‘এ+’, ‘এ’, ’বি’ এবং ‘সি’। ‘এ+’ বিভাগে রয়েছেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli), রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) ও জসপ্রীত বুমরাহ(Jaspreet Bumrah)। তাঁরা পাবেন বার্ষিক ৭ কোটি টাকা। ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ বিভাগে থাকা প্লেয়াররা পাবেন যথাক্রমে বার্ষিক ৫ কোটি, ৩ কোটি এবং ১ কোটি টাকা। ফলত পরিষ্কার ভারতের পুরুষ ও মহিলা জাতীয় ক্রিকেট দলের প্লেয়ারদের বার্ষিক বেতনের তারতম্য ঠিক কতটা।
সাধারণভাবে এই তথ্য সামনে আসার পর যে কেউ বলবে মহিলা ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানো উচিত। তবে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটসম্যান স্মৃতি মন্ধনা(Smriti Mandhana) কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছেন। গত বছর জানুয়ারিতে এই বেতনের তারতম্য নিয়ে স্মৃতি মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে আমরা(বিসিসিআই) যা আয় করি তা কিন্তু পুরুষদের ক্রিকেট থেকেই করি। যেদিন থেকে মহিলাদের ক্রিকেট থেকেও ভালো অর্থ আয় করতে পারব, সেদিন আমি সবার আগে বলব আমাদেরও সমান বেতন দরকার। কিন্তু বর্তমানে আমরা সেটা বলতে পারি না।’
স্মৃতির জাতীয় দলের সতীর্থরা এই বিষয়ে কী মত পোষণ করেন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সোজাসাপ্টাভাবে বলেন, ‘আমার মনে হয় না আমার কোনও সতীর্থ এই তারতম্য নিয়ে ভাবছে। কারণ এখন আমাদের একমাত্র ফোকাস হল ভারতের জন্য ম্যাচ জেতা, মাঠে যাতে দর্শক আসে সেটা দেখা এবং কীভাবে বোর্ডের আয় বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে ভাবা। আপাতত এই জিনিসগুলোর উপরেই আমরা ফোকাস করছি। এটা যদি ঠিকভাবে হয় তাহলে বাকি সবকিছু আপনা-আপনিই সঠিক হয়ে যাবে। আর সেজন্য আমাদের পারফর্ম করতে হবে। তাই আমার মনে হয় এখন আমাদের সমান বেতন দাবি করাটা অনুচিত হবে। আর আমি এই বেতনের তারতম্যের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইব না।’
ভারতে মহিলাদের ক্রিকেট গত কয়েক বছরে প্রভূত উন্নতি করেছে। অনুরাগীদের মধ্যেও মহিলা ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে। তাই আগামী কয়েক বছরে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল নিজেদের প্রমাণ করে সমবেতনের দাবিদার হয়ে উঠবে, এমনটাই আশা অনুরাগীদের।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.