বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, দিল্লি থেকে ইতিমধ্যেই একটি এয়ারক্রাফ্ট উড়ে গিয়েছে ডমিনিকার উদ্দেশে। মনে করা হচ্ছে , পিএনবি মামলায় কোটি টাকার জালিয়াতি কাণ্ডের নায়ক মেহুল চোকসিকে দেশে ফেরাতে এমন উদ্যোগ । যদিও গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনও তথ্যই সামনে আসেনি নিশ্চিতভাবে। অন্যদিকে, পলাতক হীরে ব্যবসায়ী আপাতত ডমিনিকার জেলে বন্দি। আর জেল বন্দি মেহুলের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া তোলপাড়।
জানা গিয়েছে গত ২৮ মে কাতার এক্সিকিউটিভ এয়ারক্রাফ্টের একটি বিমান ইতিমধ্যেই ডমিনিকার উদ্দেশে ডগলাস চার্লস বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এদিকে, ভারত কূটনৈতিক পথে ডমিনিকার সঙ্গে আলোচনা করে গোটা বিষয়টির উপসংহার টানতে চাইছে বলে খবর। এর আগেই মেহুলকে সোজাসুজি ভারতে প্রত্যর্পণ করা যাবে না বলে জানিয়েছে ডমিনিকা। ফলে জেলবন্দি মেহুলকে সেদেশে অবৈধ প্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করলেও ডমিনিকা আদালত তাঁকে ২ জুন পর্যন্ত প্রত্যার্পণ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।এবিষয়ে অ্যান্টিগা সরকারের আদালত রায় দিয়েছে। এদিকে ভারতের তরফে এক কূটনীতিক ইতিমধ্যেই ডমিনিকায় আগামী সপ্তাহে পা রাখবেন বলে খবর। করোনাকালে যেভাবে ভারত ভ্যাকসিন দিয়ে ডমিনিকাকে সাহায্য করেছে, তাতে সেই পথ ধরে কূটনৈতিক আলোচনার পরে মেহুলকে এদেশে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, গতকালই সংবাদসংস্থা এএনআই প্রকাশ করেছে ডমিনিকার জেলে বন্দ মেহুল চোকসির ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর হাতে আঘাতের চিহ্ন। চোখ ফুলে গিয়ে লাল হয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে মেহুলের আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল জানিয়েছেন, তাঁর সন্দেহ মেহুল চোকসির গ্রেফতারি নিয়ে রয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আইনজীবী মারফৎ ডমিনিকা আদালতের কাছে মেহুল চোকসি জানিয়েছেন যে তাঁকে অপহরণ করে, মারধর করা হয়েছে। তারপর জোর করে ডমিনিকা নিয়ে আসা হয়েছে।