পোর্তো: চেলসির(Chelsea) ইতিহাসে সবচেয়ে দামী ফুটবলার তিনি। মরশুমের শুরুতে বায়ার্ন লেভারকুসেনকে(Bayern Leverkusen) যে রেকর্ড অর্থ দিয়ে তাঁকে দলে নিয়েছিল চেলসি, মরশুমের শেষ ম্যাচে এসে সুদে-আসলে যেন তা ফিরিয়ে দিলেন কাই হ্যাভার্তজ(Kai Havertz)। মেগা ফাইনালের ৪২ মিনিটে তাঁর গোলটাই দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরা করল চেলসিকে। ম্যাচ শেষে জনৈক সাংবাদিক তাঁকে ‘সবচেয়ে দামী’ বলতেই হ্যাভার্তজ পালটা জানালেন, ‘I don’t give a f*** about that.’
আপাতত জয়ের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে চান হ্যাভার্তজ। যে ট্রফিটার জন্য দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিলে তিলে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন, সেই ট্রফি জিতে আজ যারপরনাই তৃপ্ত বছর একুশের জার্মান ফুটবলার। ম্যাচ শেষে কার্যত বাকরুদ্ধ হ্যাভার্তজ BT Sport-কে বলছিলেন, ‘আমি জানি না কী বলব তবে আমি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছি। এই মুহূর্তটার জন্য ১৫ বছর পরিশ্রম করেছি। আমি অভিভূত।’
অধিনায়ক সিজার অ্যাজপিলিকুয়েতাও(Cesar Azpilicueta) উচ্ছ্বসিত তরুণ স্ট্রাইকারকে নিয়ে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জুনিয়রকে নিয়ে বলতে গিয়ে জানালেন, ‘হ্যাভার্তজ মানসিকভাবে ভীষণ চাঙ্গা। ও পাগলের মতো দৌড়য় আর সেই কারণেই এটা ওঁর প্রাপ্য। ছেলেটা একদিন সুপারস্টার হবে।’ আর নিজেকে নিয়ে বলতে গিয়ে খেতাবজয়ী চেলসি অধিনায়ক জানান, ‘২০১২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের ঠিক পরেই আমি এখানে এসেছিলাম। ইচ্ছে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটানো। অসাধারণ অনুভূতি। আমার পরিবার আজ এখানে রয়েছে। আমার কাছে বিশেষ দিন।’
আর এক বুক অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সারা মাঠ দৌড়ে বেড়ালেন যিনি, সেই ম্যাচের সেরা এনগোলো কান্তে(N’Golo Kante) জানালেন তিনি ‘গর্বিত’। কান্তে আরও বললেন, ‘হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রমের ফসল এই ফলাফল। আমরা শেষ অবধি লড়াই করে এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছি।’ তবে জানুয়ারিতে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে(Frank Lampard) সরিয়ে থমাস টাচেলের(Thomas Tuchel) কোচ হিসেবে যোগদানকে এই সাফল্যের অন্যতম কারণ বলছেন ফ্রান্সের বিশ্বজয়ী দলের সদস্য।
কান্তের কথায়, ‘এটা নয়া কোচের আগমণেই সম্ভব হয়েছে। ট্যাকটিকস বদলেই আমরা সাফল্য পেয়েছি।’ আর ম্যাজিশিয়ন টাচেল বলছেন, ‘আমরা বদ্ধপরিকর ছিলাম। আমরা ম্যান সিটি(Manchester City) ফুটবলারদের পায়ে বেড়ি হতে চেয়েছিলাম। সকলকে খোলস ছেড়ে বেরনোর বার্তা দিয়েছিলাম। আমাদের বল পজেশন ভালো ছিল। বিপজ্জনক প্রতি-আক্রমণ থেকে বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করেছি।’ একইসঙ্গে এই জয়কে কেন্দ্র করেই আগামী মরশুমে পরিকল্পনা সাজানোর বার্তা দিয়েছেন ‘ব্লুজ’দের জার্মান কোচ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.