নিউ দিল্লি: শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে যে আইআইটির একজন অধ্যাপক করোনা মোকাবিলায় অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতাল ও নানা স্থানে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির মাধ্যমে যে অক্সিজেন উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছেন, দিল্লি সরকারের সেটা মেনে নেওয়া উচিত। দিল্লি সরকারকে হাইকোর্ট বলে যে ” বিগত ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম আমরা একটি মহামারীর (Pandemic) সঙ্গে লড়াই করছি। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরী করা হলে তা থেকে দীর্ঘমেয়াদী ফল পাওয়া যেতে পারে। তাই এই চাহিদাকে সর্বোচ্চ মনে করে সরকারের উচিত এই উদ্যোগকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সাহায্য করা।” আইআইটির ওই প্রফেসরের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিচারপতি বিপিন সংঘী ও বিচারপতি জসমিত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ দিল্লি সরকারকে (Delhi Govt) চার সপ্তাহের মধ্যে কোর্টের কাছে সময়সীমা , কী কী পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কী করণীয় তা জানিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

দিল্লি আইআইটির প্রফেসর (Delhi IIT Professor) সুধীর ধীরের (Sudhir Dhir) সুপারিশের প্রশংসা করে দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সবরকম ভাবে কোভিড (covid) মোকাবিলায় যাবতীয় ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে এবং ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত থাকা সম্ভব হবে। এই সুপারিশ অনুযায়ী দিল্লি সরকার ও বাকি বেসরকারি হসপিটালের দিল্লি শহরে চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত অক্সিজেন পরিবহন ও সরবরাহের বিষয়ে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।

দিল্লি সরকারের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী রাহুল মেহেরা বলেন যে প্রাপ্ত সুপারিশ বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অধ্যাপকের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) সরকারকে সম্মাননা বাবদ এক লক্ষ টাকা ওই অধ্যাপককে দেওয়ার জন্যে বলেছেন। দিল্লি (Delhi) সরকারের আইনজীবী ও অন্যান্যরা এই বিষয়ে একমত হয়েছেন। প্রফেসর ধীর জানিয়েছেন তার কাজ সাধুবাদ পেয়েছে এটাই যথেষ্ট, এর জন্য তার অন্য অর্থনৈতিক সুবিধা প্রয়োজন নেই

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.