দল বিরোধী মন্তব্য করায় তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা আলিমুদ্দিনের ম্যানেজারদের। বিধানসভা ভোটের পর প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন এই বামনেতা। প্রকাশ্যে কার্যত বোমা ফাটিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেও তাঁকে সতর্ক করা হয়।
জানা যাচ্ছে, এবার তন্ময় ভট্টাচার্যকে তিন মাস সেন্সর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএমের রাজ্য কমিটি। আগামী তিনমাসের জন্যে সেন্সর করা হয়েছে এই বাম নেতাকে। এর ফলে আগামিদিনে দলীয় কোনও কর্মসূচি বিষয়ে বক্তব্য রাখতে পারবেন না তিনি।
শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমেও কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না তিনি। এরপরেও যদি কোনও বক্তব্য দেন তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে বর্ষীয়ান এই বাম নেতাকে সতর্ক করা হয়েছে। যদিও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটি এই বিষয়ে রাজ্যের কমিটির অনুমোদন চায়।
এমনটাই জানা যাচ্ছে।
বিধানসভা ভোটে বাংলাতে মুখ থুবড়ে পড়েছে বামেরা। এই প্রথম বামেদের ছাড়া বিধানসভার অধিবেশন বসছে। ফল প্রকাশের পরেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তন্ময় ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সহ একাধিক বাম কর্মী। যা মোটেই ভালো চোখে দেখেনি আলিমিদ্দিনের ম্যানেজেররা।
ফলাফল প্রকাশের এই প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। রাত পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। যেখানে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিষয়টিও উঠে আসে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেণনি বিমান বসু-সূর্যকান্তরা।
তন্ময়কে সেন্সার করার সিদ্ধান্ত নিলেও কান্তি গাঙ্গুলির ক্ষেত্রে সে পথে হাঁটেনি সিপিএম রাজ্য কমিটি। এ নিয়ে কান্তির সংগে আলোচনা করেই বিষয়টিতে ইতি টেনেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। ভোটে হারের পরে ফেসবুকে মন্তব্য করেছিলেন বর্ধমানের অমল হালদার ও অপূর্ব চ্যাটার্জি। তারপরে তাঁরা ক্ষমাও চেয়ে নেন। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠলেও তাই তাতেই বিষয়টি ইতি হয়।
অন্যদিকে রাজ্য কমিটির বৈঠকে আইএসএফের সঙ্গে জোট করা নিয়েও আলোচনা হয়। এদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলা সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে কার্যত একের পর এক বিষয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যা ইয়াসের সঙ্গে তুলনীয় বলছেন রাজ্য কমিটির কয়েকজন সদস্য। অনেকেই বলেন, এই জোট আদতে দলের পক্ষে ক্ষতি হয়েছে।
তাতে দলের ধর্মনিরপেক্ষতা ভাবমূর্তিতেও আঘাত লেগেছে বলেও ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাধিক বাম নেতা। আর তার খেসারত ভোট বাক্সে পড়েছে বলে মনে মরা হচ্ছে।
তবে আগামিদিনে আইএসএফের সঙ্গে জোট থাকা কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদিও আগেই আইএসএফ সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকী জানিয়ে দিয়েছেন, আগামীদিনে বামেদের সঙ্গেই তাঁরা জোটে থাকবেন।