করের চিন্তা
বিসিসিআই সূত্রে খবর, ভারতে টি ২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে রাজস্বের ৪৬ শতাংশ কর বাবদ বিসিসিআইকে দিতে হবে ভারত সরকারের কাছে। সেই পরিমাণ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। আইসিসি ক্রমাগত বিসিসিআইকে চাপ দিচ্ছে, ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলে পুরো কর মকুবের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে। ২০১৬ সালেও টি ২০ বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। সেবার কর মকুব না হওয়ায় লভ্যাংশ থেকে ভারতের প্রাপ্য ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার আটকে রেখেছিল আইসিসি।
আইসিসি-র চাপ
এমনকী গত বছর আইসিসি হুমকিও দিয়েছিল ভারত সরকার বিশ্বকাপ আয়োজনে কর মকুব না করলে বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। অক্টোবরে টি ২০ বিশ্বকাপ ছাড়াও ২০২৩ সালে ভারতেই হওয়ার কথা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। বিসিসিআই অবশ্য আইসিসিকে জানিয়েছে, সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। সদর্থক পথেই আলোচনা এগোচ্ছে। যদিও যতক্ষণ না অবধি কোনও নিশ্চয়তা আসছে ততক্ষণ অবধি উৎকণ্ঠা থাকছেই। বোর্ডের সময় চাওয়ার এটাও অন্যতম কারণ।
দায়িত্বে বিসিসিআই
বোর্ডের শীর্ষকর্তার তরফে এদিন বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে টি ২০ বিশ্বকাপ সরিয়ে নিতে হলেও তা আয়োজনের অধিকার বিসিসিআইয়ের উপরই ন্যস্ত থাকবে। এমনকী বোর্ডকর্তারা চাইছেন, ২০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার মতো যদি সরকারকে দিতেও হয় কর বাবদ তবু বিসিসিআই বিশ্বকাপ আয়োজন করুক। কিন্তু একইসঙ্গে বোর্ডের সামনে বাধা করোনা অতিমারিও। ভারত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রেড লিস্টে থাকায় বিশ্বকাপের প্রস্তুতি দেখতে আসতে পারেননি আইসিসি কর্তারা। তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা থাকায় অনেক দেশ ও ক্রিকেটাররা ভারতে যে আসতে অনীহা দেখাচ্ছেন সেটাও জানে বিসিসিআই। তাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
জুলাইয়েই স্পষ্ট চিত্র
পিচের মানের কথা ভেবে ওমানেও প্রথম দিকের কিছু ম্যাচ করানোর উদ্যোগ নিতে পারে আইসিসি। ১ জুনের বৈঠকের পর আইসিসি-র পরবর্তী বৈঠক জুলাইয়ে। ১৮ জুলাই আইসিসি-র বার্ষিক কনফারেন্স। তার আগেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ভারতে টি ২০ বিশ্বকাপ হবে কিনা।
ছবি- বিসিসিআই