মুম্বই: ইতিমধ্যেই চার মাস বয়স হয়ে গিয়েছে খুদে ভামিকার(Vamika)। কিন্তু ‘বিরুষ্কা'(Virushka) তাঁদের মেয়ের সঙ্গে অনুরাগীদের এখনও অবধি পরিচয় করাননি সোশ্যাল মিডিয়ায়। বারকয়েক বিশেষ কিছু মুহূর্তে সেলেব দম্পতির খুদে কন্যাসন্তানের ঝলক সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে বটে, তবে সেটা কখনোই আত্মপ্রকাশ বা পরিচিতি ঘটানো নয়। বরং তাঁদের কন্যাসন্তানকে প্রকাশ্যে আনার বিষয়টি বারংবারই সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন বিরাট(Virat Kohli) এবং অনুষ্কা(Anushka Sharma)।
স্বাভাবিকভাবেই অনুরাগীদের প্রশ্ন যে, ছোট্ট ভামিকাকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখার বিষয়টা কি ‘বিরুষ্কা’র পরিকল্পিত? শনিবার ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এব্যাপারে অনুরাগীদের ধারণাটা একেবারে স্পষ্ট করে দিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে(Instagram) এদিন অনুরাগীদের সঙ্গে ‘ask me anything’ সেশনে অংশ নিয়েছিলেন বিরাট। সেখানেই ভামিকাকে নিয়ে বিরাটকে একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন এক অনুরাগী।
জনৈক অনুরাগী ভারত অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করেন, ‘ভামিকা শব্দের অর্থ কী? সে এখন কেমন আছে? আমরা কি তাঁকে একঝলক দেখতে পারি?’ উত্তরে বিরাট যা বলেন সেটা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত অধিনায়ক জানালেন, ‘ভামিকা হল মা দুর্গার(Goddess Durga) আরেক নাম।’ আর শেষ প্রশ্নের উত্তরে বিরাটের জবাব, ‘না আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মপ্রকাশ করাব না। যতদিন না তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া সম্বন্ধে সম্যক ধারণা হচ্ছে এবং নিজের পছন্দ তৈরি হচ্ছে ততদিন অবধি।’ ভার্চুয়াল মাধ্যমের বাড়বাড়ন্তের যুগে বিশেষ করে যখন করোনা(COVID19) নামক অতিমারী(Pandemic) মানুষকে অনেক বেশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোয় অতিসক্রিয় করে তুলছে, সে সময় দাঁড়িয়ে সেলেব দম্পতির এই সিদ্ধান্ত যে অত্যন্ত সাহসী, তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে আপাতত কোহলির সঙ্গে নিশ্চিতভাবে কঠোর নিভৃতবাসে(Quarantine) রয়েছেন তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা এবং অবশ্যই খুদে ভামিকা। কারণ তিন মাসের লম্বা সফরে বোর্ড(BCCI) ক্রিকেটারদের পরিবারকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেছে। ফলত আগামী ৩ জুন কোহলির সঙ্গেই চার্টার বিমানে যুক্তরাজ্যে(UK) উড়ে যাবে ভামিকা। আর অবশ্যই বাবার সঙ্গে এটিই হতে চলেছে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। সেখানে ১৮-২২ জুন কিউয়িদের(Kiwi) বিরুদ্ধে WTC Final খেলবে কোহলির ভারত এবং অগস্ট থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.