নয়াদিল্লি: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve bank of India) ১০০ টাকার নতুন নোট (Rs.100 Currency)আনতে চলেছে। যা ছিঁড়ে যাবে না, সব সময় থাকবে চকচকে। আগের নোটের থেকে হবে আরো টেকসই। প্রথমে ট্রায়ালের জন্যে চালু করা হবে। পরে প্রচুর সংখ্যায় বাজারে ছাড়া হবে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve bank of India) তাদের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছে, বার্ণিশ পেন্ট করার কারণে এই নোটটি জল লাগলে ছিঁড়বে না বা জলে জড়িয়ে যাবে না। সুতারং নোটটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি সাবধানতা অবলম্বন না করলেও হবে। আসলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার নোংরা বা ছেড়া নোট পাল্টাতে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বের অনেক দেশ প্লাস্টিকের নোট ব্যবহার করে। এখন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কও এটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গিয়েছে এই নোটটি এমনভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে যাতে দৃষ্টিশক্তিহীন প্রতিবন্ধীদেরও সুবিধা হবে। এছাড়া নোটের মান উন্নত করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুম্বইয়ে নোটের মান নিশ্চিতকরণ পরীক্ষাগারও স্থাপন করেছে।

রিজার্ভ(RBI) ব্যাঙ্ক বার্ষিক প্রতিবেদনে ১০০ টাকার নতুন নোট ছাড়াও অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। বলা হয়েছে যে গত বছরের তুলনায় দেশে জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে। ১০ টাকার নকল নোট ২০.২ শতাংশ। 20 টাকার নকল নোট ৮৭.২ শতাংশ। ৫০ টাকার নকল নোট ৫৭.৩ শতাংশ ধরা পড়েছে। ৫০০ ও ২০০০ টাকার নকল নোটও ধরা পড়েছে। নোটবন্দির পর ১২১.১০ শতাংশ ৫০০ টাকার নকল নোট ধরা পড়েছে। ২১.৯ শতাংশ ২০০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়েছে। যদিও ১০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। মাত্র ৭.৫ শতাংশ ধরা পড়েছে। এর কারণেই হয়ত সম্প্রতি ১০০ টাকার নতুন নোট জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোটবাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ৮ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ১০০০ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে দাবি করেছিলেন, এর ফলে দেশের কালো টাকাও উদ্ধার হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে নোটবন্দির পরেই ৫০০ ও ২০০০ টাকার নকল নোটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিজেপি দাবি করেছে নোট বাতিলের ফলে অর্থনীতিতে কালো টাকা যেমন কমেছে, একইসঙ্গে বেড়েছে কর আদায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.