নিয়ম মানা হচ্ছে না
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে সরকারের নিয়ম মানছেন না অনেকে। করোনা ভাইরাসকে জয় করে গত এপ্রিল মাসে যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের কোভিড ১৯ টিকার প্রথম শট নেওয়ার কথা জুন কিংবা জুলাইতে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ না মেনে অনেকে মে মাসেই টিকা নেওয়ার জন্য স্লট বুক করেছেন বলে জানানো হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ না জেনেই এই ভুল করে ফেলছেন বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। সরকারের তৈরি করা কোউইন অ্যাপ প্রযুক্তিগত দিক থেকে সেই সব মানুষদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে বলেও জানানো হয়েছে।
১৮-এর উর্ধ্বে টিকাকরণ শুরু হতেই বিপত্তি
গত এপ্রিল মাসে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরুর ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ মে থেকে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারও আগে থেকে কোউইন অ্যাপে কোভিড ১৯ টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভূক্ত করতে শুরু করেন মানুষ। সেই সময় বহু ক্ষেত্রে তিন মাসের বিধি লঙ্ঘন করে ফেলেছেন সদ্য করোনা ভাইরাস হারানো মানুষ। ভয় এবং আতঙ্কে ভুলবশত তাঁরা এই কাজ করে ফেলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এই নিয়ম
বিভিন্ন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর কোভিড ১৯ টিকাকরণের ক্ষেত্রে তিন মাসের নিয়মটি চালু করেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে যে, করোনা ভাইরাসকে সদ্য হারিয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে। তিন মাসের মধ্যে তাঁদের নতুন করে কোভিড ১৯-এ সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বলেও জানানো হয়েছে। আর সে কারণেই টিকাকরণের ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়ম চালু করেছে কেন্দ্র।
সময় নিয়ে বিভ্রান্তি
সদ্য করোনা ভাইরাস সারিয়ে ওঠা ব্যক্তিরা তিন মাসের মধ্যে টিকা নিতে পারবেন না বলে যে নিয়ম চালু করেছে, তাতে বিস্তর ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে সময়ের ব্যবধান কখন থেকে গোনা শুরু হবে? কোনও ব্যক্তি যেদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নাকি রোগমুক্ত হওয়া, কোন সময়টাকে এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে, তা নিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন অনেকে।