ভোট পরবর্তী হিংসা
২০০ আসনের টার্গেট তো দূরের কথা ১০০ পার করতে পারেনি বিজেপি। বলা চলে বাংলায় এক প্রকার লজ্জা জনক হারের মুখে পড়তে হয়েছে মোদী শাহদের। সেই লজ্জা জনক হারের পরই বাংলায় দিকে দিকে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। ১২ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। বিজেপির পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মহিলা কর্মীদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ঘরছাড়া অসংখ্য বিজেপি কর্মী হাজির আশ্রয় নিয়েছে অসমে।
নয়া কৌশল বিজেপির
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এবং বাংলার ময়দানে নামছে বিজেপি। ১ জুলাই থেকে বাংলায় নয়া কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তারা। ঠিক করা হয়েছে বাংলায় বিজেপি কর্মীদের উপর যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে সেই খবর রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চায় তারা। জেলা স্তরের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করবেন শীর্ষ নেতারা। সেই আলোচনা সরাসরি ভার্চুয়াল মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষের কাছে। ১ থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালাবে বিজেপি। এর মধ্যে প্রশ্নোত্তর পর্বও থাকবে।
রিপোর্ট জমা
আজই কেন্দ্রের বিশেষ টিম বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রের কাছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে মহিলাদের উপরেও নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বিশেষকমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উগ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপালকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিদর্শনে রাজ্যপাল
পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। কোচবিহারের শীতলকুচিতে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বেশকিছু আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যপাল। কোচবিহারে একাধিক জায়গায় রাজ্যপালকে দেখে বিক্ষোভও দেখানো হয়।